মোশারফ হোসেন জসিম পাঠানঃ
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ ও কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মো: কামরুজ্জামান, ও সহকারী শিক্ষক, হারুন অর রশিদ এর বিরোদ্ধে দূনীর্তি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলছে। সূত্রে জানা যায়— গত নৈশম্য বিরোধি ছাত্র জনতা আন্দোলনের পর হইতে সরাকারি ভাবে প্রজ্ঞাপন জারী হয়।
এর জের ধরে উল্লিখিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: কামরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন একই এলাকার মো: সুরাপ মিয়া ও রিমা আক্তার বাদী হয়ে ০৮—২০—২০২৪ইং উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দ্বায়েল করেন, এই পুরো বিদ্যালয় জুড়ে আলোচনার ও সমালোচনার ঝড় উঠে। এই খবর শুনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকার সাংবাদিক গণ—তথ্য সংগ্রহ করত সরজমিন গেলে— বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান মাস্টার কে পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলার কর্মকর্তা বৃন্দ অভিযোগটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান মো: হারুন অর রশিদ মাষ্টারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে কিছুদিন পর ভারপ্রাপ্ত প্রধানের বিরোদ্ধে একটি মামলা হয়। উক্ত মামলার আসামি হিসাবে নেত্রকোণা কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক হারুন মাষ্টারকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন, ২৬ দিন জেল হাজতে থাকার পর তিনি পুনরায় বিদ্যালয়ে নিজ স্থানে কার্যক্রম শুরু করে।
এই নিয়ে পুরো এলাকার ছাত্র—ছাত্রী ও অভিবাভক এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণদের মধ্যে কানঘোষর ঝর উঠে। এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান জেল হাজতে চলে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে কার্যক্রমের বিগ্ন সৃষ্টি হয়। সকল শিক্ষকগণের পরামর্শে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ মাষ্টারকে প্রধানের দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয় এবং তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এই খবর শুনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকার সাংবাদিক গণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হারুন অর রশিদ মাষ্টারকে পাওয়া যায় নি।
সিনিয়ন শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ মাষ্টার ও সহকারী শিক্ষক গণ এর সঙ্গে সাংবাদিক জানতে চাইলে তারা সত্যতা শিকার করে বলেন এ বছর ছাত্র—ছাত্রীদের ভর্তির ফিস ও সেশন বিল সরকারি অনুযায়ী নেয়া হয়েছে। যেমন: ৬ষ্ঠ শ্রেণির ও ৭ম শ্রেণির ভর্তি ফিস ভাবত ১০০ টাকা, সেশন বিল ১০০ টাকা, ৮ম, ৯ম, ১০ম ভর্তি ১২০ টাকা, সেশন বিল ৩০০ টাকা নেয়া হয়।
এ বছরে ছাত্র— ছাত্রী দের কম টাকায় ভর্তি করতে পেরে অভিবাভকগণ আনন্দিত হয়। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল ওয়াদুদ মাষ্টার বলেন অনুপস্থিত যে কয়দিন রয়েছে কামরুজ্জামান মাষ্টার ও হারুন মাষ্টারের হাজিরা খাতায় স্বাকর হয়নি।
গত বছরের পিডির টাকা কেন্দ্রের ফিস, সেশন বিল, এর টাকা সকল কর্মচারীদেরকে বন্টন করে দেয় প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ মিলে সকল শিক্ষকগণের চোখে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বিদ্যালয়ে চাকরিরত কিছু কর্মচারীদেরকে বেতন প্রধান করেন। অবৈধ ভাবে চাকরি করতেন যারা তারা হলেন শেফালি আক্তার, হযরত আলী, এলামুল হক, স্বপন মিয়া, ও টিপু মিয়া।
এ বেপারে উপজেলা কর্মকর্তা ও জেলা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সু—দৃষ্টি কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল… চলবে