প্রভাস চক্রবর্ত্তী,বোয়ালখালী:
মানুষ বেঁচে থাকে তাঁর কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়, আবারও প্রমান করলো মিনতী ভট্টাচার্য্য। তিনি চিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র,পরোপকারী বহুগুণের গুণান্নীত সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের গৃহিণী এবং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দীপংকর ভট্টাচার্য্যের মমতাময়ী মা।
গতকাল ১২ফেব্রুয়ারী মস্যমুখী অনুষ্ঠান নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে পরিবার ও আত্নীয়সজনের উপস্হিতিতে দুপুরে অন্নভোজের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর পুত্রবঁধু ডা: ডালিয়া ভট্টাচার্য্য, সুনীল চৌধুরী,রাখী চক্রবর্ত্তী,সাবেক বন্দর কর্মকর্তা নিমু চক্রবর্ত্তী,শিক্ষিকা হ্যাপি ভট্টাচার্য্য,ইউমি ভট্টাচার্য্য নাতনী জামাই স্বপ্নীল চৌধুরী,চৈতি ভট্টাচার্য্য,অনুরাধা ভট্টাচার্য্য, রুপা ভটাচার্য্যসহ,বিভিন্ন সামাজিক ব্যাক্তিবর্গগন ।
হিন্দুশাস্ত্রানুযায়ী পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে এবং তাদের আশীর্বাদ কামনায় দান-ধ্যান ও অতিথিভোজন অনুষ্ঠান। সাধারণত মৃত ব্যক্তির সন্তান কিংবা আত্মীয়-স্বজনরা এ অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।
বর্ণভেদে ব্যক্তির মৃত্যুদিবসের ১১, ১৫ অথবা ৩০ দিন পরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন এ-কদিন ফলমূল, নিরামিষ এবং লবণ ছাড়া আতপ চালের ভাত খায়। শ্রাদ্ধের আগের দিন মৃত ব্যক্তির পুত্ররা মাথার চুল ফেলে দেয় এবং শাস্ত্রীয় নিয়ম-কানুনসমূহ পালন করে। শ্রাদ্ধের দিন সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ায়। শ্রাদ্ধ উপলক্ষে ব্রাহ্মণ ও আত্মীয়-স্বজনদের নানারকম দান-ধ্যানও করা হয়।
উপস্থিতি সবাই মিনতী ভট্টাচার্য্যের আত্মা সৎগতি কামনা করে পরিবারবর্গের সাথে আবার ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।