গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তির চুক্তির জন্য কৃতিত্ব দাবি করেছেন: ট্রাম্প ও বাইডেন

স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

 

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুজনই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তির চুক্তির জন্য কৃতিত্ব দাবি করেছেন।  অথচ ১৫ মাস ধরে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

বুধবার মধ্যরাতে জানা যায়, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলি এবং কাতারের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ট্রাম্প দ্রুততার সঙ্গে এই চুক্তি ঘোষণা করে বলেন, গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দিদের জন্য একটি চুক্তি হয়েছে।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বন্দিদের জন্য চুক্তি হয়েছে।  তারা শীঘ্রই মুক্তি পাবে’।

পরে তিনি চুক্তিটিকে একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হিসেবে অভিহিত করেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুধুমাত্র আমাদের নির্বাচনী জয়ের ফলে সম্ভব হয়েছে। এটি বিশ্বকে সংকেত দিয়েছে যে আমার প্রশাসন শান্তি স্থাপন এবং মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চুক্তি করবে। আমি আনন্দিত যে আমেরিকান এবং ইসরাইলি বন্দিরা বাড়ি ফিরে তাদের পরিবারের সাথে মিলিত হবে’।

চুক্তির সময়টিকে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর আগে, ২০ জানুয়ারির মধ্যে বন্দি মুক্তির সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে, যদি তার অভিষেকের আগে বন্দিরা মুক্তি না পায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে চরম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।

বাইডেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এই চুক্তির মাধ্যমে গাজার জনগণ পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারবে, যেখানে হামাস আর ক্ষমতায় থাকবে না’।

বাইডেন চুক্তির তিনটি ধাপ তুলে ধরেন।  প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি বাহিনীর গাজার জনবহুল এলাকা থেকে প্রত্যাহার এবং নির্দিষ্ট বন্দিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয় ধাপে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি এবং চূড়ান্তভাবে একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা শুরু হবে।

বাইডেনের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্নে, ‘এই চুক্তির কৃতিত্ব কার?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা কি মজা করছেন?’

ইসরাইলের গাজা অভিযানে ৪৬,৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।  ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরাইলে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ১,২০০ ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা এবং ২৫০ জনকে অপহরণ করে।  এরপর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় নিরলস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *