গাজীপুরের বাসনের চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য—প্রশাসন নীরব

স্টাফ রিপোর্টার:

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু সংখ্যক অসৎ চোরাই ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে প্রশাসনের কেন মাথাব্যথা নেই, তা জানতে গণমাধ্যমকর্মীগণ অনুসন্ধান চালায়।
প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে চোরাই তেলের ব্যবসা।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক অসৎ ব্যবসায়ী নাওজোড় ওভার ব্রিজের নিচে পশ্চিম পাশে নুরুল ইসলাম, রাকিব, সালাম, ওবাইদুর, হোসেন, আমির ও মোরসালিন নামীয় একাধিক ব্যক্তি রাস্তার পাশে চোরাই তেলের দোকান দিয়ে বসে আছে। সেই অসৎ ব্যবসায়ীরা চোরাই তেল সংগ্রহ করে থাকে কিছু অসৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্গো, অন্যান্য গাড়ির ড্রাইভারদের নিকট থেকে। সেইসব গাড়ির ড্রাইভারগণ চোরদের দোকানের মধ্যে গাড়ি ঢুকিয়ে গাড়ি থেকে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে থাকে। যখন গাড়িটি চোরাই দোকানের সামনে দাঁড় করায়, তখন চোরাই দোকানদারগণ দ্রুত পাইপ দিয়ে গাড়ি থেকে তেল বের করে তাদের দোকানে মজুদ করে।

চোরাই দোকানদার জানান, চোরাই তেলের সকল দোকানদারগণ থানা পুলিশ ম্যানেজ করেই চোরাই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, নাওজোড় এলাকায় একাধিক চোরাই তেলের দোকান রয়েছে। এই চোরাই তেলের চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় চোরাই তেলের ব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা আরও বলেন, চোরাই চক্রটি থানা পুলিশ প্রশাসন, ডিবি পুলিশসহ সকল প্রশাসনকে মাসিক মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদক যদিও একাধিক দোকানের মালিকের সাথে কথা বলার জন্য দোকানে যায়, কিন্তু সাংবাদিকদেরকে দেখে তারা দোকান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। যাদেরকে পাওয়া গিয়েছিল তারা সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি। তাছাড়া, প্রতিটি দোকানে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে, যা শ্রম আইন বিরোধী।

এলাকাবাসীর দাবি, তারা দ্রুত এই চোরাই তেলের দোকান বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন খানের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কয়েক দফা দেখা করতে থানায় গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি থানায় বসতে বলেন, কিন্তু ৪ ঘণ্টা বসিয়ে রেখেও তিনি থানায় আসেননি। (ধারাবাহিক পর্ব-১)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *