কামরুল ইসলাম:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরি ২টি একনলা বন্দুক ও ১টি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে। একই অভিযানে অস্ত্রসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় এবং আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহানুর রহমান সোহাগ এর তত্ত্বাবধানে ১১ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ভোর ৬টা ২০ মিনিটে বাঁশখালী থানার এসআই (নিঃ) মোঃ জামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বাঁশখালী থানা গেটের সামনে পেকুয়া-চট্টগ্রাম সড়কে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশাকে থামানোর সংকেত দিলে সেটি থেমে যায়। পরে তল্লাশির সময় সিএনজিতে যাত্রীবেশে থাকা দুইজনকে নিচে নামিয়ে তল্লাশি করা হয়। চেকপোস্টে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে—
১. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (২৭), পিতা মৃত ফজলুল করিম চৌধুরী, মাতা চশমে আনোয়ার সিদ্দিকা, সাং—আমিন শরীফ মিয়ার বাড়ি, ৮নং ওয়ার্ড, টইটং ইউপি, থানা—পেকুয়া, জেলা—কক্সবাজার এর ডান হাতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে পুরাতন চেক লুঙ্গিতে মোড়ানো অবস্থায় ২টি দেশীয় তৈরি সচল কালো রঙের একনলা বন্দুক (লোহা ও কাঠের অংশে বিভক্ত) উদ্ধার করা হয়।
২. মোঃ ইলিয়াস (৪১), পিতা আহম্মদ হোসেন, মাতা মৃত মমতাজ বেগম, সাং—মিয়ার বাজার মিজ্জরি বাড়ি, ৫নং ওয়ার্ড, বাঁশখালী পৌরসভা, থানা—বাঁশখালী, জেলা—চট্টগ্রাম এর বাম হাতে থাকা বাজারের ব্যাগ থেকে একইভাবে মোড়ানো একটি দেশীয় তৈরি সচল কালো রঙের এলজি (লোহা ও কাঠের অংশে বিভক্ত) উদ্ধার করা হয়।
আসামিদ্বয়কে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানা এলাকা থেকে সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম শহরের মইজ্জারটেক এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল।
ঘটনার পর বাঁশখালী থানায় মামলা নং-১৬, তারিখ-১১/০৫/২০২৫, ধারা: ১৯A Arms Act, ১৮৭৮ মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে।