মোঃ মাহমুদুল হাসান:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আতাহার এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালক পলাশ হালদারকে হত্যা করে লাশ সরিষা ক্ষেতে ফেলে রাখেন হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযানে ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
এর মধ্যে দুজন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন,আর বাকি দুজন ছিনতাই করা অটোরিকশার মালামাল কেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অটোরিকশা চালক পলাশ হালদার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে। ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও খন্ডিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার পর অটোরিকশাটি ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তারা।
এর আগে শনিবার বেলা ১০:৩০ ঘটিকার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার একটি সরিষা ক্ষেতে পলাশের মরদেহ উদ্বার করে পুলিশ। নিহত পলাশ হালদার সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালীনগরের শ্রী লাকফর হালদারের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা এলাকার জনি,তানোর উপজেলার কলমা এলাকার রকি,একই উপজেলার তালন্দ এলাকার জুয়েল এবং নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার সানোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানিয়েছে,জনি ও রকি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন,আর জুয়েল ও সানোয়ার ছিনতাই করা অটোরিকশার মালামাল কেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম আরও জানান,গত শনিবার সকালে পলাশ হালদারের মরদেহ উদ্ধারের পর ওই রাতেই সদর উপজেলার মহারাজপুর থেকে রকি ও জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে,তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা উদঘাটনে কাজ চলছে এবং বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।