“জুলাইয়ের জ্বলন্ত চিহ্ন বরিশালে আজও রক্তঝরা স্মৃতির অনুরণন”

রবিউল ইসলাম রাব্বি:

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, যা আজ ‘৩৬ জুলাই’ নামে স্বীকৃত, দেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মোড় বয়ে আনে—স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটানো আন্দোলনের চেতনাকে। সেই দিনে বরিশালে বস্তুত বিশেষ কোনো বহিরাগত সংঘর্ষ না হলেও, সামগ্রিকভাবে সংবেদনশীল রাজনৈতিক আবহে শহর ও জেলা নানা কর্মসূচি ও বিকট আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। জাতীয়ভাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ এই দিনটি ২০২৫ সালের আগস্টে রাষ্ট্রীয় ছুটিসহ পালিত হচ্ছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসন আজ সকাল ৭টায় বনানী (চড়াদি ইউনিয়নে) জুলাই শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণে অনুষ্ঠান শুরু করে। নগরীতে নতুন নির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ (গ্রাফিতি) উদ্বোধন এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের আবেগ-দরদ সম্পৃক্ত স্মৃতিচারণ তাদের একথা মনে করিয়ে দেয়—“জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলো আমাদের জন্য কতটা ভয়ংকর ছিল, তা আমরা বলে শেষ করতে পারব না।” পাশাপাশি প্রার্থনা শোনা যায়—অবিচারের বিরুদ্ধে “আমরা আমাদের জীবদ্দশায় এই বিচার দেখতে চাই”।

বরিশালের জনজীবনে আজকের দিন অকাতরে গাঁথা আছে: ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর নীরব স্মৃতিতে মহাকালের তরে শান্তিপূর্ণ পুনর্গঠনের আকাঙ্ক্ষা প্রবল। শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের সংগ্রাম যেন সমর্থিত হয়, তাদের প্রতি মর্যাদা ও বিচার নিশ্চিত হয়—এই প্রত্যাশা আজও বহমান।

যে প্রতিবেদন আপনি চান—সাধু ভাষায় হৃদয়বিদারক, কিন্তু রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও আশা-আকাঙ্কাও ফুটিয়ে তুলতে—তার মূল কাঠামো হবে:
ভূমিকা: ৩৬ আগস্ট (৫ আগস্ট ২০২৪)-এর স্মৃতি ও জাতির এক অভিজ্ঞান।
বরিশাল কেন্দ্রীয় চিত্র: জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ স্মৃতিসমূহের সম্মান, সংবর্ধনা, চলচ্চিত্র প্রদর্শন।
ব্যক্তিগত অনুভূতি: শহীদ পরিবার ও আহতদের কণ্ঠে আশা, অনিচ্ছা শব্দের মর্মস্পর্শ।
পেলামেলির নাগরিক চেতনা: বিচারহীনতা নিয়ে উদ্বেগ, অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান।

“আমরা চাই, এক বছরের পরেও যেন কোনো বরিশালীর বুক ছাইফোঁটা না পড়ে; যেন এই শহর হয়ে ওঠে শান্তি, সমৃদ্ধি ও ন্যায়ভিত্তিক পুনর্গঠনের প্রতীক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *