টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জমি জমা সংকান্ত বিরোধে আহত -১

স্টাফ রিপোর্টারঃ পিন্টু শেখ:

 

টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার হরিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে জমি জমা সংকান্ত পূর্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে হরিয়া গ্রামের এম এ সাত্তারের পুত্র গোলাম মোঃ মোর্তুজা আলম(২৪) গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়া বিবাদী ১। মোঃ নুর নবী ② ঠান্ডু (৫০), পিতা-মৃত দুদু মিয়া, ২। মোঃ লিমন হোসেন (২৮), ৩। মোঃ আশিক (২৫), উভয় পিতা-মোঃ নুর নবী ও ঠান্ডু, সর্ব সাং-হরিষা দক্ষিনপাড়া, থানা-গোপালপুর, জেলা-টাঙ্গাইল গন আমাদের সহিত বিরোধ করতঃ বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের মারপিট করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। এর ধারাবাহিকতায় ইং ২২/০২/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমার পিতা এম এ সাত্তার (৭৫) আমাদের বাড়ী অনুমান ৫০০ গজ পশ্চিমে আমাদের পুকুর পাড়ে থাকা গাছ পালা দেখিতে গেলে বিবাদীরা আমার পিতাকে ডাকি বলে যে, আমার পিতার সহিত তাহাদের নাকি জরুরী কথা আছে।

আমার পিতা বিবাদীদের কথা সরল মনে বিশ্বাস করিয়া পুকুরে চারপাশে দেওয়া নেটের বেড়া উত্তর পাশে থাকা লোহার গেটের সামনে পাকা রাস্তায় পৌছাইলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া উক্ত বিবাদীরা সহ আরো অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন বিবাদী বে-আইনী জনতাবদ্ধে হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া আমার পিতার চলার পথরোধ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমার পিতা ইহার প্রতিবাদ করিলে সকল বিবাদীরা আমার পিতাকে এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। মারপিট এর একপর্যায়ে ১নং বিবাদী হুকুম দেয় যে, সাত্তারকে জীবনের তরে শেষ করে দে। ১নং বিবাদীর হুকুম পাইয়া ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে উক্ত বারি আমার পিতার কপালে লাগিয়া গুরুতর ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ৩নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়া আমার পিতার বাম চোখের নিচে ঘাই মারিয়া গুরুতর ফাটা রক্তাক্ত জখম করে।

আমার পিতা মাটিতে পড়ে গেলে ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার পিতার মাথার উপর কয়েকটি বারি মারিয়া ফাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার পিতার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমার পিতাকে খুন জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি আমার পিতাকে উদ্ধার করিয়া গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসা জন্য ভর্তি করি। আমার পিতা বর্তমানে উক্ত হাসপাতালে আশংকা জনক অবস্থায় চিকিৎসারত আছেন। আমি আমার পিতার চিকিৎসা করানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং ঘটনার বিষয়ে আমার আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিলাম। ঘটনার অনেক সাক্ষী আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *