ডিস বিল সংগ্রহকারী থেকে ‘কোটিপতি’? রহস্য ঘনীভূত করছে মোতালেবের পরিবর্তন

মোঃ ফেরদৌস হোসেন 
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের ছোট আরিয়া মোহন গ্রামে ২২ বছর বয়সী তরুণ মোতালেব হোসেনকে ঘিরে সম্প্রতি তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক মাস আগেও সাধারণ পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচিত এই যুবক হঠাৎ করেই বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় এলাকাবাসী বিস্মিত ও সন্দিহান।
স্থানীয়রা জানান, রিকশাচালক বাবার আয়ে চলত মোতালেবদের সংসার। তিনি নিজে স্থানীয় ডিস লাইনের বিল সংগ্রহের কাজ করতেন। সেই পরিবারেরই বর্তমানে জমি কেনা, তিনতলা ভবন নির্মাণ, দামি মোবাইলফোন ও মোটরসাইকেল—সব মিলিয়ে যেন চোখের সামনে এক অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মোতালেবের বাড়িতে একটি তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। অনেকেই বলছেন, কয়েক মাসেই পরিবারের আর্থিক অবস্থার এমন পরিবর্তন স্বাভাবিক নয়। কেউ কেউ দাবি করছেন, গত এক বছরে কয়েকবার বিদেশি নাগরিককে ওই বাড়িতে যেতে দেখা গেছে, আর মোতালেবও একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তবে এসব দাবি নিশ্চিত নয়, শুধু গুঞ্জনের মতোই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আর্থিক উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে মোতালেবের মা জানান, এসব করেছেন ঋণ ও পুরোনো জমানো টাকায়। অন্যদিকে মোতালেবের ভাইয়ের ভাষ্য—জমি বিক্রির অর্থেই হয়েছে পরিবর্তন। দুইজনের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, মোতালেব অনলাইনে কাজ করেন। আবার অনেকে মনে করেন, তাঁর প্রকৃত আয়ের উৎস অন্য কিছু। কিন্তু নিশ্চিতভাবে কেউই কিছু জানাতে পারেননি।
একজন প্রতিবেশী বলেন, “ছেলেটা তো আগে ডিস বিল তুলত। এখন হঠাৎ এত টাকার উৎস কোথায়—বুঝে উঠতে পারছি না। বিষয়টা রহস্যজনক মনে হচ্ছে।”
এ বিষয়ে মোতালেব জানান, তিনি অনলাইনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন এবং ১৫–২০ হাজার টাকা বেতন পান। আর হঠাৎ পরিবর্তনের বিষয়ে বাবা–মায়ের সঙ্গেই কথা বলতে বলেন।
এতসব অসংগতির কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহল ও আলোচনা বাড়ছেই। তাঁদের দাবি, অস্বাভাবিক সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা জরুরি। প্রয়োজন হলে তদন্ত করে সত্য বের করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *