স্টাফ রিপোর্টার।
মানিকগঞ্জ দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামের ইউছুপ শেখ (৫৫)কে পিটিয়ে হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফোন করলে, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মানিকগঞ্জের সহ-সভাপতি, জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমকে, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানায় ডেকে নিয়ে, পোলট্রি শাহ আলমের যোগ সাজোসে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেন। জানা যায় পোলট্রি শাহ আলম , সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমকে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে জেলে পাঠানের উদ্দেশ্যে, কলিয়া ইউনিয়নের বীর কালিদ বাজারের পোল্টি শাহাআলমের বিয়াই সারের ডিলার ফজলুকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বাদী ও সাক্ষী বানানোর জন্য থানায় ডেকে আনেন, কিন্তু ফজলু মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার বাদী ও সাক্ষী হতে রাজি না হওয়ায়, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কে সাত ঘন্টা থানার কাস্টোরিতে আটক রেখে, ওসিকে হুমকি দেওয়ার মুচলেকা রেখে সাংবাদিক কে ছেড়ে দেন।
জানা যায় গত ৯ই জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে বৃহস্পতিবার মান্দারতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলা কে কেন্দ্র করে তারই জের ধরে গত শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নিহত ইউছুপ শেখের বাড়িতে ঢুকে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে তার পরিবারের সবাইকে আহত করে নিহত ইউছুপ শেখ কে নিজ বাড়ি থেকে টেনে হেঁচড়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় এনে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র হয়ে সিনেমা স্টাইলে প্রকাশ্যে নৃশংস ভাবে এলোপাতারি লোহার রড, ইট, হাতুরী দিয়ে গুরত্বর জখম করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পবর্তীতে স্হানীয়রা ইউছুপ শেখ কে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরে সেখান থেকে রেফার করে মানিকগঞ্জ হাসপাতালে পাঠান, মানিকগঞ্জ হাসপাতাল থেকে রিফার করে ঢাকা হাসপাতালে পাঠালে, সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, এলমেছ পিতাঃ হোলই, এলমেছের স্ত্রী লাভলী , তার ছোট ছেলে সোহান হোসেন দেদার, বড় ছেলে লিটন, আনতোফ ও তার পিতাঃ সবর আলী ও তার ছোট ছেলে তোরব আলী এবং আনতোফের স্ত্রী সোনিয়া, আসামী সরব আলী ও তার স্ত্রী শান্তি, বড় ছেলে আলতাফ, নজরুল পিতা নজেস ও তার স্ত্রী নাম রোজিনা, তাছের পিতা তোফিস ও তার স্ত্রী ছুমি সর্বসাং মান্দারতা অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী।
গতকাল সোমবার ১৩ই জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক স্বাধীন সংবাদের সাংবাদিক তার নিজ গ্রামে বিয়ের দাওয়াত খেতে গ্রামে যায়, সকালে সাংবাদিক তার নিজ বাসার জন্য মান্দারতা বাজার করতে গেলে বাজারের পাশে নিহতের বাড়ি সেখানে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কে তাদের স্বজন হত্যার আসামি না ধরার পিছনের রহস্যের বিষয় টা জানান। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী ও তার মেয়ে বলেন আমার ছোট ভাই হাবিব সে লেখা পড়া জানে না একটু হাবাগোবা কে যেন থানা স্টাফ ফোন করে হাবিব কে ঘুরিয়ে আবার দিয়ে যায় বিষয়টা আমাদের সন্ধেয় লাগতেছে।
পরে অপরিচিত থানা স্টাফের মোবাইল নাম্বার নিয়ে নিহতের স্বজনদের অভিযোগের বিষয় টা মুঠো ফোনে পরিচয় ও অভিযোগের বিষয় টা তুলে ধরেন পরবর্তীতে সেই নাম্বার দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফোন রিসিভ করে বলেন, মোবাইলে বলা সম্ভব না আপনি থানায় আসেন। সাংবাদিক কে দুই দুই বার ফোন করে তাৎক্ষণিক বাসার বাজার রেখে নিহতের ছেলে হাবিব কে নিয়ে থানায় হাজির হই। থানায় হাজির হয়ে ওসি, তদন্ত ওসি ও অন্যান্য স্টাফ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমকে আক্রমণাত্নক মনোভাব নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও মিথ্যা মামলার নাটক সাজানোর কৌশল করেন।
এক পর্যায়ে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম আনুমানিক ১১ ঘটিকায় ফোনে ডিসি মহোদয়কে অবগত করেন, মহোদয়ের সাথে কথা বলা দেখে কাছে থাকা দুটি ফোন আটক রেখে সাংবাদিক কে অন্য একটি রোমে বন্ধ করে রাখে যাতে কারো সাথে যোগাযোগ করতে না পারে। সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গুঞ্জন ছোটাছুটি শুরু হয় মিথ্যা মামলা নাটক হন্য হয়ে খুজে বেড়ায় বাদী পক্ষকে , অপরিচিত স্যারের ডিলার কে থানায় ডেকে এনে আমাকে দেখাচ্ছে ডিলার ফিসফিস করে বলতেছে নাতো এই সাংবাদিক কে আমি চিনি না কিন্ত আমি মিথ্যা মামলা বাদী হতে অস্বীকার জানালে স্যারের ডিলার কে নিয়ে আড়ালে মিথ্যা মামলার বাদী হওয়ার জন্য দৌলতপুরের প্রশাসন প্রীতি দালাল পল্টি শাহ আলম ও ড্রেজার ব্যবসায়িক পরিচয়ধারী সাংবাদিক আমিনুর ওসির গোপনীয় আলাপন পরবর্তী স্যারের ডিলার চলে গেলে একপর্যায়ে থানায় আসেন পংতিছা গ্রামের বিএনপি নেতা নজরুল এসে সাংবাদিক কে বলে আমাকে তো ওসি ফোন করে এনেছে বাদী হওয়ার জন্য আমি কি করবো।
সাংবাদিক বলেন, আমি আপনার মন্তব্য কে পছন্দ করতে পারছি না এবং বাদী যাতে না হয় সে আমার কাছে থেকে সুবিধা চায়, আমি বলি আমি কোন প্রকার সুবিধা দিতে রাজি নই, আমি নির্ভীক, অটল অবিচল, ন্যায়ের প্রতিক একপর্যায়ে আমার স্বজনরা জানতে পেয়ে থানায় আসলে বিএনপি নেতা নজরুল থানার ওসির নাম বলে আমার শুশুরের কাছে থেকে ১৩হাজার টাকা নিয়েছে বলে জানতে পারি। থানায় আনুমানিক সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মিথ্যা মামলার সাজানো নাটক বাদী পক্ষ নারাজি হওয়ায় তাদের মনগড়া সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। সাংবাদিক কে বিনা কারণে ডেকে নিয়ে থানায় আটক রাখার বিষয় টা সুশিল সমাজের চোখে প্রশাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা ও খোপ প্রকাশ করেছেন। থানায় থেকে বের হয়ে দৈনিক স্বাধীন সংবাদ সম্পাদক ও প্রকাসক আনোয়ার হোসেন আকাশ স্যার কে মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মহাদ্বয়ে কে অবগত করছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে সারের ডিলার ফজলু বলেন, শাহ আলম আমার বিয়াই লাগে, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেওয়ার জন্য আমাকে থানায় ডাকেন,কিন্তু এই সাংবাদিক আমার নিকট থেকে কোন চাঁদা নেয়নি, তাই আমি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার বাদি হয়নি। পল্ট্রি শাহ আলমের ফোন নাম্বার না থাকায়, তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে ফোন করলে বলেন সাংবাদিককে ছেড়ে দিয়েছি , বিস্তারিত জানতে চাইলে মিটিংয়ে আছি বলে ফোন রেখে দেন।