মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী, ব্যুরো চিফ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—একজনের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হলেও অন্যজনকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার টিপরদী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৈতী গার্মেন্টসের সামনে সড়কের পাশে পড়ে থাকা এক মধ্যবয়সী ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) ইমরান আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন,
“লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।”
একইদিন দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিজয়নগর এলাকায় এক ঝোপের ভেতর থেকে অটোরিকশাচালক রিজওয়ান (১৯)-এর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিজওয়ান বারদী ইউনিয়নের ভটেরপাড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে স্থানীয়রা ঝোপের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় রিজওয়ানের মরদেহ দেখতে পান। মরদেহ থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে পড়ে ছিল তার অটোরিকশা, পাশে তিন জোড়া জুতা এবং রক্তের দাগ।
স্থানীয়দের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
নিহতের বাবা মনির হোসেন জানান,
“অল্প কিছুদিন আগে ওকে নতুন অটোরিকশা কিনে দিয়েছিলাম। প্রতিদিনের মতো আজ সকাল ৭টায় ও বাসা থেকে বের হয়। এরপর সোয়া ১১টার দিকে জানতে পারি, ওর লাশ পাওয়া গেছে।”
এ ঘটনায় তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেলিম বলেন,
“নিহতের অটোরিকশা থেকে তিনটি জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছি। তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
দুটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোনারগাঁ এলাকায় চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ পৃথকভাবে উভয় ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।