মোশারফ হোসেন জসিম পাঠান:
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলাধীন স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামে এক মহিলা খুন, আহত ৪, থানায় মামলা, গ্রেফতার ২। ইতিমধ্যে সূত্রে জানা যায় গত ২০/০৩/২০২৪ ইং তারিখ দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পূর্বের বিষয়আদি ও জমিজমা বিরোধের জের ধরে গণিপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ নূরজাহান আক্তার সেহরির রান্না করতে উঠানে পাক বসালে একই গ্রামের মোঃ লাল মিয়ার ছেলে মোঃ মাসুদ রানা মোহন তার লোকজন নিয়ে উক্ত মহিলার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মহিলার চিৎকারে ঘুমে থাকা লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে হামলাকারীদের কবল হতে উদ্ধার করতে চাইলে এলোপাতারি কুপিয়ে আরো ৪ জনকে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আহত ব্যক্তিদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখাকার কর্মরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা সুচনীয় দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করেন, সেখানকার কর্মরত ডাক্তার গুরুতর আহত মহিলা নূরজাহানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশকে অবগত করিলে মৃতক নূরজাহানের মরদেহ সুরাতাহাল করে মর্গে প্রেরণ করেন। এই খবর থানা পুলিশকে জানালে ঘটনার স্থান হইতেই দুইজনকে গ্রেফতার করে আটপাড়া থানা পুলিশ। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতক নূরজাহানের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে গত ২১/০৩/২০২৪ ইং তারিখে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি এজাহার দায়ের করেন, প্রতিপক্ষ মাসুদ রানা মোহনসহ ৫ জনকে আসামী ও অজ্ঞাত ৩—৪ জনকে মামলায় আসামী করা হয়। যাহার আটপাড়া থানার মামলা নং ১৪।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মনজুরা আক্তার ও লাল মিয়া। উল্লেখিত ঘটনা নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগী হত্যা মামলার বাদী মেহেদীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে জমিজমা ও বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আমাদের লোকজন বাড়িতে না থাকায় এই দুর্বলতার সুযোগে প্রতিপক্ষ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে, জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য চাই…. চলবে ।