নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছাত্রদল নেতা দিদারকে ব্যাপক মারধর — এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ

নাছিমা খাতুন সুলতানা:

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গণ্ডা ইউনিয়নের মরিচপুর গ্রামের মো. আরজু মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম দিদারকে ব্যাপক মারধর করেছে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ অক্টোবর রাত প্রায় ৯টার দিকে। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কেন্দুয়া-আঠারোবাড়ী সড়কের বড় কালিয়ান এলাকার বাদল ভূঁইয়ার ইটখলার পাশে পথরোধ করে একদল সন্ত্রাসী দিদারকে আটকায়। তারা তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে ফেলে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং ভর্তি করে। কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে অবজারভেশনে রাখেন।

ছাত্রদল নেতা দিদারের চাচাতো ভাই মো. মজিবর রহমান ও তার বন্ধু মো. রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, “গত কিছুদিন ধরে গণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে বিরোধী পক্ষের কয়েকজন ব্যক্তি দিদারকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। সম্ভবত এই ঘটনার পেছনে পূর্বশত্রুতা বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বই মূল কারণ।”

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, “আমাদের গ্রামে অনেক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এমন নির্মম হামলার ঘটনা আগে কখনও শুনিনি।”

স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সচেতন মহল, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গ্রামবাসীর মধ্যে যারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ও বিচার দাবি করেছেন তারা হলেন—আব্দুল হামিদ, আবুল হাসেম, মো. আব্দুল মজিদ, মো. সাইদুর রহমান, মো. বারেক মিয়া, মো. রাজু মিয়া, হেলাল উদ্দিন, ফরহাদ মিয়া, মো. সবুজ মিয়া, আজিজুল মিয়া, বাচ্চু মিয়া, মো. বাদল মিয়া, মো. ফজলু মিয়া, মো. হোসেন মিয়া, মো. আহমদ মিয়া, মো. সুজন মিয়া, মো. হানিফ মেম্বার, মো. হান্নান মিয়া, মো. নজরুল মিয়া, আলী ইসলাম, মো. বুলু মিয়া, মো. শামিম মিয়া, মো. সুমন মিয়া, মো. মনির মিয়া, মো. শিপন মিয়া, মো. হোসেন মিয়া সহ আরও অনেকে।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, ঘটনার সঠিক তদন্ত ও অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে এলাকায় বড় ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *