নেত্রকোনা কেন্দুয়ায় পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

মোশারফ হোসেন জসিম পাঠান: 

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বলাই শিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জমি দখলের অভিযোগ

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কচন্দরা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে মোঃ কমল উদ্দিন তাদের পৈত্রিক জমিতে ধান রোপণের উদ্দেশ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ১০টার দিকে জমিতে প্রবেশ করেন। এসময় একই গ্রামের মৃত মুখতুল হোসেনের ছেলে মোঃ কালা মিয়া ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে জমি চাষাবাদে বাধা প্রদান করেন।

জানা যায়, পূর্বে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দু’বার গ্রাম্য সালিশ বসে এবং সেখানে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে কালা মিয়া পক্ষ পুনরায় জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

থানায় অভিযোগ দায়ের

ঘটনার পর জমির প্রকৃত মালিক মোঃ কমল উদ্দিন কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে প্রতিপক্ষ মোঃ কালা মিয়া সহ তিনজনকে আসামি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্তে যান।

তবে অভিযোগের পর থেকেই প্রতিপক্ষ পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বাদী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মোঃ মজিবর মিয়া বলেন—

“প্রতিপক্ষ কোনো ধরনের সালিশি সিদ্ধান্ত মানছে না। তারা জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করছে এবং বাদী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।”

প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তারা দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারও জেলা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে অভিযোগকারী পরিবার বলেছে—

“আমরা ন্যায়বিচার চাই। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কেউ যেন পৈত্রিক জমি দখল করতে না পারে। আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, প্রশাসনের কাছে এর সঠিক সমাধান চাই।”

উত্তেজনা বিরাজ

ঘটনাটি এখন গ্রামজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নিলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *