পূর্বধলায় জমি ও মারামারি মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি

নাছিমা খাতুন সুলতানা: 

নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের লেটিরকান্দা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মারামারির মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি মৃত আশ্রাফ আলীর ছেলে। ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পৈতৃক সম্পত্তির অংশ হিসেবে ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৩ কাঠা জমি সাফকাওলা মূলে ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করে তারই চাচাতো ভাই মোঃ শাহজাহান মিয়া স্থানীয় কয়েকজন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শে ওই জমিতে চাষাবাদে বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা (মামলা নং– ২/২০) দায়ের করেন। মামলায় শাহজাহান মিয়াসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায়ও আসামিপক্ষ মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া রফিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে নেত্রকোনা আদালতে আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে, যেখানে শাহজাহানসহ পাঁচজন আসামি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সমাধান হয়নি। আসামিপক্ষ সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে উল্টো বাদী ও সালিশদের হুমকি ও অপমান করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।

স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা— কাপাসিয়া বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ ইসলাম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ শাহান তাং, মোঃ কাশেম মিয়া, মোঃ আব্বাস আলী, মোঃ ওয়াহাব মেম্বার, মোঃ আমজত হোসেন, মোঃ রমজান আলী ও মোঃ আব্দুল মতিন মিয়া প্রমুখ জানিয়েছেন,

“মামলার বাদী রফিকুল ইসলামের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে আসামিপক্ষ রাজি নয় এবং তারা এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।”

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *