ফতুল্লায় প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার:

ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী এলাকায় স্বপ্নালয় ভবনে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা ও যুবদল নেতা সোহেলকে চিহ্নিত প্রতারকচক্র পরিকল্পিতভাবে পথরোধ করে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে ফতুল্লা থানায় চিহ্নিত ৭ জনসহ আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত সোহেল।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টার সময় আসামি কামাল প্রধানের নেতৃত্বে চাঁনমারিস্থ নতুন কোর্ট এলাকায় তার বাহিনীর সদস্য আলমগীর, জসিম উদ্দিন মুন্সী, রফিক শেখ, হাফিজ, নাসিমা বেগম ও অন্তরা ইসলাম নিপাসহ আরও ৪/৫ জন সন্ত্রাসী চাঁদার দাবিতে সোহেলের বুকের বাম পাশের পাঁজরে ঘুষি মারলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় সোহেলের পকেটে থাকা নগদ ১২,৫০০ (বারো হাজার পাঁচশত) টাকা আলমগীর ছিনিয়ে নেয়।

এ সময় অন্যান্য আসামিরা বলে, “তুই যদি আমাদের ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেছ, তাহলে তোকে মেরে পরে গুম করে খুন করে ফেলবো। তখন তোর লাশ আর কেউ খুঁজে পাবে না।” আহত সোহেলের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা আরও হুমকি দিয়ে বলে, “তুই যদি টাকা না দেছ, তাহলে তোকে ও তোর পরিবারের সদস্যদের আমাদের গ্রুপের নারী দিয়ে কল্পকাহিনি তৈরি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করব।”

এরপর থেকে সোহেলের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা ও মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে মানহানি করছে আসামিরা। আসামি কামাল প্রধান ও আলমগীর তাদের নিজেদের ফেসবুক আইডিসহ আরও কয়েকটি ফেক আইডি ব্যবহার করে নিয়মিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। চাঁদার টাকা না দিলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনেরও হুমকি দিয়ে আসছে প্রতারকচক্র।

এতে করে সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অপপ্রচার ও হুমকি-ধামকির কারণে তাদের জীবন চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। বর্তমানে আসামিদের অব্যাহত হুমকির কারণে সোহেল চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

উল্লেখ্য, আসামি কামাল প্রধানের কাছে সোহেল ৫ লক্ষ টাকা পান। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করলে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ বিচারক প্রতারক কামালকে ৮ মাসের সাজা এবং সমপরিমাণ টাকা প্রদানের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আসামি কামাল বাদী সোহেলকে কোনো ধরনের টাকা ফেরত দেননি।

বরং গত ৭ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৪টার সময় চাঁনমারিস্থ লিংক রোডের পাশে উল্লেখিত কামাল প্রধান, আলমগীর, রফিক শেখ ও হাফিজসহ অন্যান্য চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সোহেলকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীল ফুলা জখম করে। আহত অবস্থায় সোহেলকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

বর্তমানে আসামিরা অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোহেল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *