মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা অঞ্চলে মাদকবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। মাদক নির্মূল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনাকারী এই থানা পুলিশ আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়ে ৩০ (ত্রিশ) পিস ইয়াবাসহ একজন পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের ধারাবাহিক তৎপরতা এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরিয়েছে এবং মাদক ব্যবসায় জড়িতদের প্রতি শক্ত বার্তা দিয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর রেহানুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ পান। তথ্য ছিল—একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি গভীর রাতে ইয়াবা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার পোস্ট অফিস রোডসংলগ্ন পাকা রাস্তা দিয়ে চলাচল করবে। তথ্যের সত্যতা যাচাই ও দ্রুত অ্যাকশনের জন্য এসআই রেহানুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত ০৪.০৫টা–এর দিকে ওই এলাকায় অবস্থান নেন। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ শেষে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হলে পুলিশ সদস্যরা দক্ষতার সাথে তাকে ঘেরাও করে আটক করেন।
আটককৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের পরিচয় দেয়—জিন্না (৬৩), পিতা মৃত মনসুর, মাতা জাহানারা বেগম। স্থায়ীভাবে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার নয়াগাঁও পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার দাপা ইদ্রাকপুর রহমান মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন।
পরবর্তীতে তার দেহ ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে পুলিশ ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা সম্পর্কে জিন্না সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী গ্রেফতার করে। পরে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত জিন্না মূলত একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কাছে জানিয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান—মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাকে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার এ অভিযান প্রমাণ করে—পুলিশের আন্তরিকতা, সঠিক তথ্যের ব্যবহার ও দ্রুত পদক্ষেপ মাদককারবারিদের দমনে কতটা কার্যকর হতে পারে। এলাকাবাসী আশা করছে, ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর ভূমিকা পালন করবে।
আপনি চাইলে আমি এটাকে আরও বড় করে সাবহেড যোগ করে, নিউজ পোর্টালের মতো সম্পূর্ণ লেআউট বানিয়ে দিতে পারি।