ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার আব্দুস সালাম ব্যাপারী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান এবং তুরাগ থানা যুবদলের জয়েন্ট সেক্রেটারি (ঢাকা মহানগর উত্তর) আব্দুস সালাম ব্যাপারী বর্তমানে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ৫ই আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দিন চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত রহমান ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালু রাখতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ওই প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক গোলাম কিবরিয়া দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।

চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শুরু হয় হয়রানি ও মিথ্যা মামলার পালা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করে একটি প্রভাবশালী মহল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারীর মোটরসাইকেলের গতিরোধ, ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে বাধা, এমনকি চাঁদা দাবি পর্যন্ত করে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় সমাধানের চেষ্টা করা হলেও ফল মেলেনি।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী জানান,আমি আমার ব্যবসার কাজে ঢাকায় ছিলাম এবং ৫ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিবাদ বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করি। ওইদিন গৌরীপুর বাজারে সুলতান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমাকে আসামি করা হয়। কিন্তু মামলার বাদী রেহেনা বেগম নিজেই বলেছেন, তিনি আমাকে চেনেন না এবং এজাহারে আমার নাম তিনি দেননি।”

চেয়ারম্যান আরও বলেন,

আমাকে একাধিক মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছে, চাঁদা না দিলে ১২–১৩টি মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হবে।”

তিনি আরও জানান,

“চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা করছি। দৌলতপুর ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

দৌলতপুর ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন,

“চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ব্যাপারী একজন সৎ, সরল ও জনবান্ধব মানুষ। তিনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলতে পছন্দ করেন এবং এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত।”

স্থানীয় জনগণ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
তারা কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *