বরিশাল মহানগর শ্রমিক দল নেতার দখলে পানি উন্নয়ন বোর্ড

বরিশাল ব্যুরো;

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও টেন্ডার বাণিজ্য থেমে নেই মহিউদ্দিনের, সরকারি অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে তোয়াক্কা করছেন না অফিসের নিয়ম কারণ। মাসের পর মাস অফিসে না আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়েও বেতন নিচ্ছেন সরকারি টাকা। নিয়মিত টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ে থাকেন সব সময় ব্যস্ত। বর্তমানে মহিউদ্দিনের পানি উন্নয়নের বোর্ডের কাজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলমান আছে, বরিশাল ঝালকাঠি বাকেরগঞ্জ দুর্গাপাশা ও সাতক্ষীরায় খুলনায় বর্তমানে তার বড় বড় কাজ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলমান আছে।

বর্তমানে তার  ৩০০ কোটি টাকার কাজ চলমান। মহিউদ্দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগের যান্ত্রিক মেকানিকাল পদে চাকরীতে নিয়োজিত থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ কিভাবে করেন এমনটাই প্রশ্ন অন্যান্যদের মাঝে। মহিউদ্দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের যান্ত্রিক মেকানিক পদে চাকরি করলেও অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে। একের পর এক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহিউদ্দিন অফিসের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী  হলেও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা, যে আসুক না কেন তাকেই নানা কৌশলে ম্যানেজ করেন।

অন্যদিকে মহিউদ্দিনের তিনজন পার্টনার মধ্যে মোহাম্মদ শাহীন আলম বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছেন করেছেন বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে গত ২০/১০ ২০২৪ সালে দুদক বরাবর ঢাকা সেগুনবাগিচা একটি অভিযোগ দায়ের করেন।এখানে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকের চিঠিতে অভিযোগ উঠেছে মহিউদ্দিন বিগত দিনে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা এডভোকেট সাজু কে নিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিতেন পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে,এদিকে পাঁচ ই আগস্ট সরকার পতনের পর কোন কূল কিনারা না পেয়ে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ, বিএনপির হয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নেন বলে অভিযোগও উঠেছে। বর্তমানে তিনি বিএনপি নেতা হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় তুলে ধরেন। এদিকে মহিউদ্দিনের কাজের আরেক পার্টনার আব্দুল সাত্তার তিনি অভিযোগ করে বলেন আমি মহিউদ্দিনের সাথে বাকেরগঞ্জের দুর্গাপাশায় ৪৫ কোটি টাকার একটি কাজ করি, এই কাজের লাভের অংশ আমাকে না দিয়ে একের পর এক টালবাহানা করে আসছেন। তবে এই কাজের আর টেন্ডার বাণিজ্যের বিষয়ে ও টাকার ভাগাভাগির সম্পর্কে জানতে চাইলে  মহিউদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছি বলে ফোনটি রেখে দেন। বর্তমানে মহিউদ্দিনের কাজের পার্টনার বাবুল খন্দকার নামে আরেক ঠিকাদারের সাথে কল করা হলে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের সাথে আর যে পার্টনার ছিল তাদের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এটা মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে তিনি ফোনটি রেখে দেন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা  কর্মচারীর মধ্যে মহিউদ্দিনের আলোচনা ও দুর্নীতির অভিযোগে যেন সবার মুখে মুখে। আরো জানা যায় মহিউদ্দিন পাঁচ বছরে ঢাকাতে গড়েছেন প্রচুর অর্থ সম্পদ,রয়েছে তার বিলাসবহুল ফ্লাট এবং তার স্ত্রী সন্তান আত্মীয়স্বজনদের নামে বিভিন্ন জায়গায়। রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ এছাড়াও ঢাকায় রয়েছে আটটি ফ্লাট।

সকল কিছু মিলে পুরো আতঙ্কের নাম মহিউদ্দিন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও রাতারাত্রি আঙুল ফুলে কলাগাছ। এই সকল অপকর্মের বিষয় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেলফোনটি রিসিভ করেন নি বিধায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।  তবে, মহিউদ্দিনের বিষয় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন শিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যেহেতু বিষয়টি শ্রমিক দলের আমিতো মহিউদ্দীনকে তেমন চিনি না। সুতরাং শ্রমিক দলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন,বিএনপির এই নেতা।

মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম তিনি বলেন, হ্যাঁ মহিউদ্দিনকে আমি চিনি। এবং তিনি বরিশাল মহানগর শ্রমিক দলের ১ নং সদস্য তিনি সব সময় বিএনপি’র মহানগর শ্রমিক দলের,সব প্রোগ্রামে পেয়েছি তিনি আরো বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।পদে যে নির্বাচিত হয়েছেন তাও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে বিগত বছররে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত জাহিদ ফারুক শামীমের হাত ধরে আওয়ামী লীগের আমলে, যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে অথবা কোটি কোটি টাকার কাজ আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নিয়েছেন,এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই দেশনায়ক তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশ যে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি কিংবা কোন টেন্ডার বাণিজ্যর সাথে জড়িত থাকবে তাদের দলে ঠাঁই দেওয়া হবে না বলে দিয়েছেন। সুতরাং দখল বাণিজ্যের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকে ছাড়

 দেওয়া হবে না এমনটাই বলেন মহানগর শ্রমিক দলের এই নেতা। তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *