মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি :
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের ভাই হেমায়েত হোসেন সোহরাব সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহের কথা জানিয়ে বরিশাল -৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জে) দিচ্ছেন উন্নয়নের ব্যপক প্রতিশ্রুতি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মেহেন্দিগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় পুর্বে মুসল্লীদের উদ্দেশ্য বলেন,
আপনারা আমাকে খাদেম হিসাবে গ্রহণ করেন, আমি চিরদিন আপনাদের খেদমত করে যাবো। হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ একটা অবহেলিত জায়গা। এখানে আমি দুইজন উপদেষ্টাকে এনেছিলাম, তারা বলে তোমাদের এলাকা এতো পিছানো কেন? শুনে আমি খুবই ব্যথিত হয়েছি। দুইজন উপদেষ্টা এভাবে বলে গেলেন। হযরত ওমর (রা) যেভাবে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে একটা কুকুর যেন না খেয়ে থাকে তাহলে তিনি দুঃখিত হতেন। আমাকে যদি আপনারা খাদেম হিসাবে গ্রহণ করেন, আমিও সেভাবে এলাকায় এলাকায় গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উপদেষ্টার সুবাদে মীরগঞ্জ ব্রিজ পাস করিয়াছি। হয়তো আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরে টেন্ডার হয়ে যাবে। সেটা যদি হয় তাহলে আপনারা তার সুফল পাবেন। আপনাদের এলাকায় ৭দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিলো না আমি মিনিস্ট্রিতে লবিং করেছি বিদ্যুৎ দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের বিদ্যুৎ বরিশাল থেকে না দিয়ে মুলাদি থেকে সাপ্লাই দেওয়ার আবেদন করেছি উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়টি এক্সসেভ করেছেন। সুকনাকাঠি এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেই কাজ চলছে। মেহেন্দিগঞ্জের ৬০কিলোমিটার এলাকার নদী ভাঙ্গন রোধে একনেকে ৭৬০ কোটি টাকা পাস হচ্ছে। যা দিয়ে ১০কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আমি এসব করবো আপনাদের খাদেম হিসাবে। মানুষের মধ্যে আল্লাহ ভীতি থাকতে হবে। মানুষের সেবা করতে হবে। আমি চাই আপনাদের আত্ম সামাজিক ও অর্থণৈতিক উন্নতি হউক। যে সমস্ত ডিপার্টমেন্ট আছে সেগুলো যদি আপনাদের কাছে আনতে পারি দেশ উন্নতির শিকড়ে যাবে। আগামীতে আমরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাবো তারেক জিয়ার মাধ্যমে। এই মসজিদে মোটরসহ ডিপ টিউবওয়েল এর ব্যবস্থা করে দিবো।
বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী উপদেষ্টা শাখাওয়াত হোসেন এর ভাই সোহরাব হোসেন উন্নয়নের ব্যপক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্রজীবনে সোহরাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল করেছেন। তবে এরপর প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে ছিলেন না। ব্যবসায়ী সোহরাব জানান, ১৯৮১-৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এসএম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮২-৮৫ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক, ১৯৮৬-৯০ সালে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসাহিত্য সম্পাদক ছিলেন তিনি।