বাঁকখালী নদীর সীমানা পিলার দিতে গিয়ে আবারও পিছু হটল প্রশাসন

আব্দুর রহমান, কক্সবাজার  :

বাঁকখালী নদীর সীমানা পিলার দিতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে আবারও পিছু হটল প্রশাসন। ইতি পুর্বে উচ্ছেদ হওয়া জমিতে পিলার স্থাপন করা হয়নি বিআইডব্লিউটিএর।
তবে কার্যক্রম স্থগিত করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে তারা। আর প্রশাসনের বেআইনি কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় সীমানা পিলার স্থাপন করতে গেলে জমি মালিকদের আন্দোলনের মুখে পড়ে প্রশাসন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টায়ার জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে কক্সবাজার-খুরুশকুল সড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। লাঠি হাতে কয়েকশ নারী-পুরুষ প্রশাসনের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে রাখে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট এলাকা।
জানা গেছে, বাঁকখালী নদীতে উচ্ছেদ হওয়া তীরের জমিতে সীমানা পিলার স্থাপন করার কথা বিআইডব্লিউটিএর। তাই গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট অংশে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগ দেন রাজনৈতিক নেতারাও।

এদিকে, বাঁকখালী নদীতে দখলমুক্ত জমিতে গত ৩ ডিসেম্বর সীমানা পিলার স্থাপন করার পরিকল্পনা থাকলেও তা পিছিয়ে করা হয় রোববার (৭ ডিসেম্বর)। আর বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টায় যাবার কথা থাকলে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে কস্তুরাঘাট অংশে যায় বেলা ১২টায়। তখন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শুরু হয় জমির মালিকদের বাগ্‌বিতণ্ডা, যা চলে দীর্ঘ ৩০ মিনিট। এ সময় বিকট বিকট শব্দের পাশাপাশি চলে বিক্ষোভ। একপর্যায়ে পিছু হটে প্রশাসন।

উল্লেখ্য যে ইতিপুর্বে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪০০ স্থাপনা গুঁড়িয়ে বাঁকখালী নদীর দখল হওয়া ৬৩ একর জমি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।এর পর বাকি জমি উদ্ধার করতে গেলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। তখন পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ ২ টি মামলা রুজু করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *