প্রভাস চক্রবর্তী:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে “জলবায়ু পরিবর্তন: ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বাংলাদেশ” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে ভেক্টরবাহিত রোগ, তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রার চাপ, বায়ু দূষণ এবং খাদ্য নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এসব কারণে বাংলাদেশ এখন ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে— এমন মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে আয়োজিত “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বয় সভা” শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতা করে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্প এবং আয়োজক হিসেবে ছিল ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি।
বক্তারা বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড, বৈশ্বিক উষ্ণতা, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে ভেক্টরবাহিত রোগ, তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রার চাপ, বায়ু দূষণ এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দিন দিন বেড়ে চলছে।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমত উল্লাহ অনুষ্ঠানে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য তথা জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করছে সে বিষয়ে আমাদের আরও গভীর গবেষণা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন ও আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। এই বিষয়ে বাস্তবসম্মত ও রিয়েল-টাইম তথ্য পাওয়া এখনো কঠিন।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহান জিতি।
বক্তব্য দেন ডা. আবু সুফিয়ান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আজমাইন ইফতেয়ার, ব্র্যাক সিনিয়র প্রোগ্রামার রাকিব ভূঁইয়া, সাংবাদিক এম মনির চৌধুরী রানা, প্রধান শিক্ষক এস এম খসরু পারভেজ, রেড ক্রিসেন্ট প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান নূর, এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ও স্টাফবৃন্দ।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি। এর নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়লেও বাংলাদেশে তা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হবে। অনেক অঞ্চল ভবিষ্যতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এতে লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিল্প, কৃষি উৎপাদন ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বাড়ছে, বায়ু দূষণও ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।”