বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের সিরতা স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সেলিম এবং একই স্কুুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদের যুগপৎ অনিয়ম দূর্ণীতি আর প্রজাতন্ত্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিভিন্ন অনুদান শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দের অর্থ সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধার প্রাপ্য অনুদানের সবকিছুই কোন জবাবদিহিতা ছাড়াই এই দুই ব্যক্তি যথাক্রমে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সেলিম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ হাতিয়ে নিয়ে এখন নিরুদ্দেশ! জানা গেছে, এই দুই ব্যক্তিকে ফোন কলেও পাওয়া যাচ্ছেনা আবার কোথাও দেখা যাচ্ছেনা!
অভিযোগে জানা গেছে, আবু সাঈদ আওয়ামীলীগের শাসনামলে দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর একটানাই নাকি সিরতা ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি পদটি জবরদখল করে রেখেছিলো। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামিলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন । অন্যদিকে আবু সাঈদের লেজুড়বৃত্তি করে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সেলিম শুধু টাকাই কামিয়ে গেছে!
অভিযোগে অভিভাবকরা জানান, আমাদের ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার আগে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় এমনকি বেতনের টাকাটা পর্যন্ত এই দুই দূর্ণীতিবাজ হাতিয়ে নিয়ে গেছে। অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করেন সিরতা স্কুলের জন্য এই দুইজন ছিলো কালনাগের মতো সিন্ডিকেট। যেখানেই টাকা দেখেছেন সেখানেই ছুটে গেছেন হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ফলে এই দুষ্টচক্রের নিরুদ্দেশের কারণে আমাদের সিরতা ইউনিয়নের স্কুল এন্ড কলেজের দৈনদশা।
অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুস সেলিম এবং আবু সাঈদ দুজনেই ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় থাকতেন এবং টাকার ভাগ নাকি সেখানেও যেতো।
সিরতা ইউনিয়নবাসী অভিযোগ করছেন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগারের ছত্রছায়ায় থাকতেন বলেই সেলিম-সাঈদ সিরতা ইউনিয়নের স্কুল এন্ড কলেজে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তাদের ভয়ে কেউ টু শব্দটি করতে পারতেননা সে যে কেউই হোকনা কেন।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সেলিম এবং স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ বর্তমানে ইউনিয়নই ছেড়ে পালিয়েছে। জানাগেছে স্কুলটির ফান্ড এখন শূণ্য প্রায়।
এখন শতশত শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের এখন মাথায় হাত। কাতর কন্ঠে অভিভাবকরা ময়মনসিংহ জেলা দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদকের শরনাপন্ন হয়েছেন। অভিভাবকরা দূদকের হস্তক্ষেপ কামনা করে সিরতা ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ এবং প্রধান শিক্ষক আব্দুস সেলিমকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। জানা গেছে এই দুই ধুরন্দর ব্যক্তি পালিয়ে দুরে যেতে পারেনি। তারা চরাঞ্চলের কোথাও আত্নগোপন করে আছে!