কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের আমাবস্যাখালী এলাকায় চিংড়ি চাষের জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী বদিউল আলমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তার নেতৃত্বাধীন একটি সন্ত্রাসী চক্র অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জমি দখল এবং ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, জেলা প্রশাসনের অধীনে থাকা খাস জমির বৈধ ইজারাদার মৌলবী নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সেখানে চিংড়ি চাষ ও লবণ মাঠ পরিচালনা করে আসছিলেন। তার নামে বিএস খতিয়ান নং ৩৪০৪/১ এর ২.৫৮ একর এবং খতিয়ান নং ৩৪০২/২ এর ৩.৩২ একর জমি ইজারাভুক্ত রয়েছে।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম জানান, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সন্ত্রাসীরা তাকে জোরপূর্বক জমি থেকে উচ্ছেদ করে। তার বৈধ ইজারা ও চুক্তিপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দখলদার বাহিনী জমি দখল করে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, বদিউল আলমের বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা রয়েছে এবং তিনি একটি সংঘবদ্ধ দখলদার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এলাকাবাসী তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। প্রতিনিয়ত তারা সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
মহেশখালীবাসীর দাবি, দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না হলে এই সন্ত্রাসী বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তারা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে এলাকায় আইনের শাসন ও শান্তি-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।