নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম নগরীর চানগাঁও থানাধীন বাড়াইপাড়া এলাকাতে মাদক ব্যবসায়ী ফেরদৌসী বেগম ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। যদিও বিভিন্ন সময়ে ফেরদৌসী ও তার পরিবারের সদস্যরা বিশাল বিশাল মাদকের চালান নিয়ে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে কালো টাকার জোরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবারো মাদক ব্যবসার সাথে লিপ্ত হয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এই নারী।
ফেরদৌসীর মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছে
তাদের প্রত্যেককে এলাকা ছাড়তে হয়েছে এবং অনেককে
মিথ্যা মামলা দিয়েও জেলে পাঠিয়েছে ফেরদৌসী ও তার পরিবার।
সম্প্রীতি ৩০ শে জানুয়ারি ২০২৫ ভোর ৪ ঘটিকার সময় ফেরদৌসীর বাস গৃহের সামনে মাদক ব্যবসা দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে গোলাগুলি হয় ঘটনাস্থলে ফেরদৌসীর বোনের ছেলে আরেক মাদক সম্রাট আজম গুলিবিদ্ধ হয়।
গোলাগুলির এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ফেরদৌসী তার বোনের ছেলের জাহিদের স্ত্রীকে দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন এবং সেই মামলায় প্রায় আসামি করা হয় এলাকার একাধিক নিরীহ মানুষকে যারা ফেরদৌসী ও তার পরিবারের মাদক সাম্রাজ্য নিয়ে প্রতিবাদ করেছিল।
জানা যায় মাদক ব্যবসায়ী ফেরদৌসীর মাদক ব্যবসার
একটি বড় অংশ চলে যায় থানার বড়কর্তাদের পকেটে, এছাড়াও এলাকায় রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে ফেরদৌসী ও তার পরিবারের উঠাবসা রয়েছে। আগে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে ব্যবসা পরিচালনা করতো ফেরদৌসী ও তার পরিবার বর্তমানে গণঅভ্যুত্থানের পরে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে চলছে তার কমরামা মাদক বাণিজ্য।
ফেরদৌসী ও তার পরিবারের সদস্যদের মাদক ব্যবসার কারণে এলাকায় তরুণ সমাজ নষ্ট হচ্ছে মাদকের অভয় অরণ্য গড়ে ওঠায় বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয় এই মুহূর্তে যদি ফেরদৌসীর মাদক ব্যবসা বন্ধ করা না যায় তাহলে নষ্ট হতে পারে অধিকাংশ তরুণ তরুণী তাই সামাজিক অবক্ষয় বন্ধে এখনই মাদক কারবারি ফেরদৌসী ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সচেতন মহলের।