মোঃ জাহাঙ্গীর আলম:
মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সেলফি পরিবহনসহ একাধিক পরিবহন সংস্থার কাউন্টারে নামে-বেনামে পরিবহনের লাইনম্যান সেজে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে একদিকে পরিবহন মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে যাত্রীরা গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
১৩ অক্টোবর (সোমবার) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ সদরের বাস উঠানামার নির্ধারিত স্থানে সেলফি পরিবহন থেকে নামে-বেনামে ব্যক্তি পরিবহন থেকে আদায় করা হচ্ছে ২০০ টাকা এবং অতিরিক্ত আরও ৩০ টাকা। এই বাড়তি অর্থের বোঝা শেষ পর্যন্ত গিয়ে চাপছে সাধারণ যাত্রীদের ওপর। ফলে পাটুরিয়া থেকে ঢাকার পরিবহন ভাড়া যেখানে হওয়া উচিত ছিল ১০০ টাকা, সেখানে যাত্রীরা দিতে বাধ্য হচ্ছেন ১৮০ টাকার মত।
অনেক পরিবহনের সুপারভাইজারা বিষয়টি স্বীকার করলেও ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। সেলফি পরিবহনের রোড ইনচার্জ মোঃ সবুজ খান বলেন, “মানিকগঞ্জ মানিক সমিতি থেকে সারা দিনে একটি গাড়িতে আনুমানিক গাড়ি পার্কিং ১৫০ টাকা নেওয়ার কথা। বিগত আওয়ামী সময় থাকতে নেওয়া হতো ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এ সরকারের আমলে একটু কমই আছে।”
এ বিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন,
“এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই।”
স্থানীরা ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, প্রতিটি বৈধ লাইনম্যানের পরিচয় নিশ্চিত করতে আইডি কার্ড ও নির্ধারিত পোশাক চালু করার। এতে করে যাত্রী ও পরিবহন মালিকরা প্রকৃত কর্মী এবং চাঁদাবাজদের পার্থক্য করতে পারবেন।