স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্যামপুর থানাধীন আরসিন গেট করিমুল্লাবাগ, ফয়াসী স্কুলের ১ নং গলীর ৫৫ নং বাড়ির ৭ তলায়, থেকে তিথি দাস নামে একজন গৃহি ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শ্যামপুর থানা পুলিশ।
সরে জমিন ঘুরে জানা যায়, ২০১৭ সালে নরাইল জেলার কালিয়া উপজেলার জোকারচর গ্রামের প্রথনাথ দাস এর কন্যা তিথি দাস এর সঙ্গে মুন্সিগন্জ জেলার সিরাজদিখাল উপজেলার রায়েরবাগ গোররবদী গ্রামের অভিনাশ ঢালীর পুত্র অমিত ঢালী ( ৩৮) এর সাথে হিন্দু ধর্মের প্রথা মেনে পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পুর্ন হয়।
তিথি দাসের পরক্রিয়া স্বামী ফ্রেন্স প্রবাসী হওয়ার গোপনে মুন্সিগঞ্জ জেলার লোহজং থানার পিংরাই প্রামের চিত্তরঞ্জন মল্লিকের কণ্যা সঙ্গীতা রানী মজুমদার এর সঙ্গে পরক্রিয়া প্রেম চালিয়ে যেতে থাকে, যার ফলে দিন দিন তিথি দাসের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়।
পরক্রিয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করবে বলে অমিত শাহ এবং তার বাবা -মা তিথি দাসকে প্রতিনিয়তো চাপ দিয়ে আসছিলেন, যার ফলে পারিবারিক ভাবে দন্দ সৃষ্টি হবার সুবাদে তিথি দাস তার সারে ৪ বছরের ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি নরাইলে চলে যায়, সেখানে গিয়ে তার পরিবারের সাথে আলোচনা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, পর্বরতিতে ৯-২-২৫ ইংরেজি তারিখ রবিবার ২ পরিবারের সদস্য এবং গন্যমান্য বৃক্তি বর্গের উপস্থিতিতে আর কোন প্রকার অকারেন্স না ঘটানোর শর্তে তিথি দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে অমিত শাহ এবং তার পরিবারে হাতে তুলে দিয়েছিলো তিথি দাসকে।
অমিত শাহের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ২ দিন পাড় না হতেই ঘাতক স্বামী অমিত শাহ এবং তার প্রেমিকা সঙ্গীতা রানী মজুমদার ও অমিত শাহের পরিবারের সদস্যরা মিলে সিলিং ফ্যাণের সাথে ঝুলিয়ে ভাড়া বাসা শ্যামপুর থানাধীন আরসিন গেট করিমুল্লাবাগ, ফয়াসী স্কুলের ১ নং গলীর ৫৫ নং বাড়ির ৭ তলায় রুমের ভিতর হত্যা করেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই বিশ্বনাথদাস, বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ দাদা এবং আপার মাঝপ তার পরক্রিয়া প্রেম নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিলো, রবিবার আমাদের ২ পরিবারের সদস্য এবং গন্যমান্য বৃক্তিবর্গের সহযোগীতার অমিত শাহ এবং তার পরিবার আমার দিদিকে নিয়ে আসে, নিয়ে আশার ২ দিন পর না হতেই অমিত শাহ আমাকে সকাল ৯ টার দিকে ফোন দিয়ে বলে তুই তারা তারি আমাদের বাসায় আয় তুই আমাদের বাসায় আশার পরেই আমি ঘরের দর্জা খুলবো, আমি জানতে চাইলাম ২ দিন হলোনা আমার দিদিকে নিয়ে আসছে আজ একথা বলছপন কেনো, উত্তরে অমিত শাহ দাদা আমাকে বলে তুই আয়, আমি ফার্মগেট এক আত্নীয় এর বাসায় ছিলাম, আমি সরিবালয় পর্যন্ত মেট্ররেলে আশার পরে অমিত শাহ আমাকে ভিডিও কল দিয়ে আমার দিদির ঝুলন্ত লাশ দেখান।
এ বিষয়ে ভাড়া বাসার সিকিউরিটি বলেন, নিহতের ভাইয়ের কাছে শোনার পড়ে সাথে সাথে আমি গেট তালা দিয়ে রাখি যাতে অমিত শাহ, তার পরক্রিয়া প্রেমিকা ও তার বাড়ির সদস্যরা পালাতে না পারে, পর্বরতিতে শ্যামপুর থানা পুলিশ এবং তিথি দাসের ভাই ঘটনা স্থলে পৌছালে আমি গেটের দরজা খুলে দিই।
এ বিষয়ে ঔ বিল্ডিং এর এক বাসিন্দা জানান আমরা প্রায় সময় তাদের স্বামী স্ত্রী সহ অমিত শাহ এর পরিবারের মাঝে ঝগড়া বিবাদ চলমান থাকতো, আজ বিল্ডিং এ চিল্লাপাল্লা হবার পরে তাদের ফ্ল্যাটে ডুকে দেখি তিথি দাস ফ্যানের সাথে ঝুলছে, আর অমিত শাহ এবং তার পরক্রিয়া প্রেমিকা দুজনে এক সাথে বসে আছে।
এ বিষয়ে শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে ফেন দিলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি আপনাদের পরে জানাবো এখন ব্যস্থ আছি।