রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ৪নং ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী তরুণীর নাম মোছাঃ বৃষ্টি খাতুন (২০), পিতা আব্দুল মমিন। বৃষ্টি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, হাঁটাচলা করতে অক্ষম। অভিযোগ রয়েছে, একই গ্রামের মৃত সেরাজ মোল্লার ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪৫), যে সম্পর্কে তরুণীর “বড় আব্বা”, গত মাসের ২২ তারিখের পর থেকে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল ইসলাম জোরপূর্বক বৃষ্টির হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করতো। বিষয়টি কাউকে জানালে বৃষ্টি ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেয় সে।
ঘটনাটি জানতে পেরে বৃষ্টির পরিবার ভীষণ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আজিজুলের চাচাতো ভাই ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। বাদী পরিবার রাজি না হলে তাদের প্রাণনাশ ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার পুঠিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। অভিযোগ রয়েছে, মামলা হওয়ার খবর পেয়ে আজিজুলের ভাড়া করা ক্যাডার বাহিনী থানায় গিয়ে বাদী পক্ষকে হুমকি দেয় এবং মারধরের চেষ্টা করে। পুলিশি সহায়তায় বাদী পরিবার নিরাপদে থানা ত্যাগ করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনার পর আজিজুল ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর চাচার ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে এলাকায় ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন,
“ধর্ষণের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী তরুণী বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছেন। মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।