কামরুল ইসলাম:
সাবেক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সংগ্রামী সিনিয়র সদস্য নজমুল মোস্তফা আমিন বলেছেন, “শনিবারের তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশকে চট্টগ্রামের মানুষ জনসমুদ্রে পরিণত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে শুরু হচ্ছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ আয়োজনে মাসব্যাপী ‘তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশ’। কর্মসূচির প্রথম আয়োজন ছিল ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার, যা শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলেই অনুষ্ঠিত হয় ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।”
তিনি জানান, এই কর্মসূচি পরবর্তীতে দেশের আরও তিনটি বিভাগীয় শহরে পর্যায়ক্রমে পালিত হবে।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও উপস্থিত ছিলেন—
-
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন
-
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস. এম. জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান
-
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির
-
নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ
-
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ
-
নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিন
তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় আয়োজিত এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, তরুণদের নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা এবং ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নজমুল মোস্তফা আমিনের নেতৃত্বে মিছিলসহ পলোগ্রাউন্ড ময়দানে যোগ দেন। এ সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৌকত ওসমানের নেতৃত্বেও যুবদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে যুবদল সভাপতি বলেন, “এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ভাবনা ও প্রত্যাশার সমন্বয়ে দলীয় নীতি ও রূপরেখাকে আরও জনমুখী ও কল্যাণমুখী করে গড়ে তোলা। তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
সেমিনারের আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন:
-
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (প্রধান বক্তা)
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন
-
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. জামাল উদ্দিন
-
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাহরিন খান
-
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ
-
টেক জায়ান্ট ওরাকলের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মুনতাসির মুনীর
-
স্যানট্যান্ডার ব্যাংকের সিনিয়র ডিরেক্টর শাফকাত রাব্বী
-
পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ
-
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আবদুল্লাহ
-
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান
আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “এই সমাবেশ ছিল তারুণ্যের এক মহামিলন। দেশের বিভিন্ন পটভূমি থেকে উঠে আসা তরুণ-তরুণীরা তাদের স্বপ্ন, অভিজ্ঞতা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। তরুণরাই বিএনপির চালিকাশক্তি, এবং আগামীর বাংলাদেশ গড়তে তাদের সম্পৃক্ততা অনিবার্য।”