কামরুল ইসলাম:
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিফাত আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে এলাকার সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওসি সিফাত এক বার্তায় বলেন, “আমরা মুসলিম, হিন্দু, বড়ুয়া—সকলেই ভাই ভাইয়ের মতো বসবাস করি। যার যার ধর্ম তার, তবে আনন্দ-উৎসব সবার। তাই কাউকে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
তিনি জানান, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাঙ্গুনিয়া থানাসহ সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। এই উৎসব শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বরং সার্বজনীন আনন্দ-উৎসবে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুসলিম, হিন্দু, বড়ুয়া সবাই অংশ নেবেন—যা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের আন্তঃসম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ওসি সিফাত বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে রাঙ্গুনিয়া থানার সর্বত্র কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থাকবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যে-ই অন্যায়, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। সে যে দলেরই হোক না কেন।”
তিনি আরও বলেন, আইন মেনে চললে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা এবং ভালোবাসা পাবে। তবে আইন ভঙ্গকারীদের প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। এজন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করি, আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করি। তবেই দেশকে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।”
উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দুর্গাপূজার সময় মণ্ডপ, পূজামণ্ডলীর আশপাশ ও জনসমাগমস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মন্দির কমিটি ও সেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
এ বছর দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া থানার পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি সিফাত।