মোসাদ্দেক হোসেন:
বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির শাহরাস্তি উপজেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার(৫মার্চ) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির শাহরাস্তি উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ফারুক হোসেন মিয়াজি। মিছিলে শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা মালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
স্মারকলিপিতে ইটভাটা মালিকগণ দাবি করেন, জিগজাগ ইটভাটার লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করতে হবে, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা, জিগজাগ ইটভাটার বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধ করা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা না করা।
ইটভাটা বন্ধ করতে হলে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, পরিবেশগত ছাড়পত্রসহ অন্যান্য লাইসেন্স সহজ করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করাসহ আরো বেশকিছু দাবি জানান তারা।
ইটভাটা মালিকরা জানান,ইটভাটা বন্ধ হলে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে ব্যাংক লোন অনাদায়ী থেকে যাবে এবং রাজস্ব আয় কমে যাবে। তারা অভিযোগ করেন, বৈধ জিগজাগ ইটভাটাগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হলেও পরিবেশ দূষণের মূল উৎস—যানবাহনের ধোঁয়া ও জৈব পদার্থ পোড়ানোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
বক্তারা আরো জানান, তাদের দাবি মানা না হলে আগামী ১১ মার্চ প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এছাড়া ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সকল দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।