মোঃ ফেরদৌস হোসেন:
বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশের পরও সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাঁচিলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় চোরাই পণ্যের জমজমাট ব্যবসা বন্ধ হয়নি। বরং প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় এই অবৈধ কারবার যেন আরও রমরমা হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় চোরাই সিন্ডিকেট আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তারা আশা করেছিলেন প্রশাসন এবার অন্তত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—চোরাই পণ্য বিক্রি এখন আগের চেয়েও নির্ভয়ে ও প্রকাশ্যেই চলছে। দিনে-দুপুরে ট্রাক থেকে রড, গম, ভুসি, ভুট্টা নামিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির দৃশ্য যেন এলাকায় এখন ‘স্বাভাবিক’ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, থানার একেবারে পাশে এমন চোরাই বাণিজ্য দিনের পর দিন চলে আসা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো জোরালো অভিযান বা দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্বপন নামে পরিচালিত চোরাই পণ্যের পয়েন্টের ম্যানেজার সজিব সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সকলকে ম্যানেজ করে ব্যবসা পরিচালনা করি।”
স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলেন, “এত বড় ইস্যু নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়েছে। কিন্তু এর পরও যদি প্রশাসন নীরব থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা গভীর।”
এ বিষয়ে হাটিকুমরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন এর আগে বলেছিলেন, “চোরাই পণ্যের বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এখন পর্যন্ত সেই ‘তদন্ত’ বা ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’র কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এলাকাবাসীর দাবি—এই চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চোরাই পণ্যের এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে শুধু ব্যবসা নয়, পুরো এলাকার আইন-শৃঙ্খলাই ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।