আবদুল আজিজ:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। এসময় এহসান হাবীব নামের পল্লী চিকিৎসক মোবাইল কোর্ট অভিযান টের পেয়ে তার ‘আন নুর সেবা সেন্টার’ নামের মিনি ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যায়।
জানা যায় তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ঠাকুরদীঘীর মসজিদ মার্কেটে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি নিজেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিলেও তার কাছে উল্লেখযোগ্য কোনো ডাক্তারি/চিকিৎসা সনদপত্র নেই।
তিনি বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে এলাকার লোকজন থেকে টাকা–পয়সা হাতিয়ে নেন বলে অত্র এলাকার সচেতন নাগরিকের অভিযোগ। এতে রোগীরা যেমন তার চিকিৎসায় জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সূত্র মতে তিনি রোগীদের যে সব রোগের চিকিৎসা করেন— মেডিসিন, মানসিক, বাত–ব্যথা, মা ও শিশু, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি, চর্ম ও যৌন। অথচ চিকিৎসাবিদ্যায় রয়েছে— এসব রোগের চিকিৎসা করেন একেক জন একেক ডাক্তার।
এই ‘আন নুর সেবা সেন্টার’-এর পল্লী চিকিৎসক এহসান হাবীবকে এর আগেও অপচিকিৎসার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এসময় তিনি অপচিকিৎসা থেকে বিরত থাকবেন বলে একটি মুচলেকা দিয়েছিলেন। এর পরেও তিনি অপচিকিৎসা করে যাচ্ছেন— এ অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মাহমুদুল হাসান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
পল্লী চিকিৎসক এহসান হাবীব পালিয়ে যাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তার ‘মিনি ক্লিনিক’ নামের হাসপাতালের কক্ষের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ক্লিনিক কক্ষের সিটে কয়েকজন মহিলাকে শুয়ে থাকতেও দেখা যায়।