কামরুল ইসলাম:
সিএমপি’র পাঁচলাইশ মডেল থানার পুলিশ এক নাটকীয় অভিযানে ভুয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বাদী মোঃ হোসেন (৩৬), পেশায় একজন মিশুক অটোরিক্সা চালক। তিনি তার ভাড়া নেওয়া মিশুক অটোরিক্সা জনাব আলাউদ্দিনের নিকট হতে চালান। ঘটনার দিন, ইং ২৩/০৯/২০২৫ তারিখে সকাল প্রায় ১১.২০ ঘটিকার সময়, তিনি তার অটোরিক্সা চালিয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন কবি ফজলুল কাদের রোডস্থ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাসায় অবস্থানকালে দুইজন ব্যক্তি তাকে থামতে বলে।
বাদী জানান, একনং আসামী মোঃ মাসুদ রানা বিপ্লব (৩২) এবং দুইনং আসামী মোঃ হাসান (৪২) নিজেদের ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেয় এবং একনং আসামীর হাতে একটি ওয়ারলেস ছিল। তারা বাদীকে তার অটোরিক্সা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে যেতে নির্দেশ দেয়।
বাদী সরল বিশ্বাসে তাদের নির্দেশ মেনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দিকে যাত্রা করেন। সকাল প্রায় ১১.৩০ ঘটিকার সময় তিনি প্রবর্তক মোড়স্থ ট্রাফিক পুলিশ বক্সে পৌঁছান। সেখানে আসামীরা বাদীকে বক্সের ভিতরে একটি “টিআই স্যারের সাথে দেখা” করতে বলে। বাদী তাদের গাড়ীতে বসিয়ে বক্সের ভিতরে প্রবেশ করলে, পরবর্তীতে দেখা যায় আসামীদ্বয় নিজেই অদৃশ্য হয়ে যায় এবং তার অটোরিক্সা গাড়ীও নেই।
পরবর্তীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে জানালে পুলিশ জানায়, আসামীদ্বয় তাদের পরিচিত নয় এবং তারা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নন।
বাদী তার গাড়ী ও আসামীদের খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ০৬/১০/২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা প্রায় ৭.৩০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব গেইটে একনং আসামী মোঃ মাসুদ রানা বিপ্লবকে দেখেন এবং পাঁচলাইশ মডেল থানাকে সংবাদ দেন।
তাৎক্ষণিক পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ এসআই মোঃ আল-আমিন খান-এর নেতৃত্বে উপস্থিত হয়ে একনং আসামীকে আটক করে। অভিযানের সময় ব্যবহৃত ওয়ারলেস সেট উদ্ধার করা হয় এবং সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ তালিকাভুক্ত করা হয়।
পাঁচলাইশ মডেল থানায় মামলার নং-০৪, তারিখ: ০৭/১০/২০২৫, ধারা ১৭০/৪০৬/৪২০/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু করা হয়েছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে যে, সরকারি কোনো পুলিশ পরিচয় না দেখে কাউকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। পুলিশ এ ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।