দাউদকান্দি, কুমিল্লা :
দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাইয়ুম, যিনি ফ্যাসিবাদের দোষর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাতের ভোটের সহযোদ্ধা, দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত। গরিবদের রক্তচোষা এই সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে গরিব, অসহায় ও খেটে-খাওয়া মানুষের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে সুবিধা পাওয়ার জন্য তৈরি এই ভাতার কার্ডগুলো কাইয়ুম মেম্বার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে গরিব অসহায় মানুষ যেমন দিনমজুর ও রিকশা চালক থেকে হাজার হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কার্ড করা হয়নি। তথ্য অনুযায়ী, নিকটাত্মীয় বা অধিক পরিমাণে টাকা নিয়ে একই ব্যক্তিকে একাধিক কার্ড দেওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে। উদাহরণস্বরূপ, হাসিনা বেগম (স্বামী নবীর হোসেন, দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা)কে তিনটি কার্ড—একটি ন্যায্যমূল্যের, একটি টি সি বির ও একটি প্রতিবন্ধী কার্ড—প্রদান করা হয়েছে, যা কাইয়ুম মেম্বারের মুনাফা লোভকে প্রতিফলিত করে।
কাইয়ুম মেম্বার অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির এবং তার রয়েছে বিভিন্ন বয়সের মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলার সাহস পায় না; টুঁ-শব্দটিও উচ্চারণ করলে প্রকাশ্যে নির্যাতনের শিকার হতে হয় বা বিভিন্নভাবে হেনস্তার সম্মুখীন হতে হয়।
দৌলতপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী জনসাধারণ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, ফ্যাসিবাদের দোষর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাতের ভোটের সহযোদ্ধা কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন ও সরকারি সম্পদের অপব্যবহারের জন্য তার অপসারণ করা হোক।