নিজাম উদ্দিন:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে জেলা বন্যপ্রাণী ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে (৬৮)টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২:৩০-এর দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা হাসপাতাল সংলগ্ন, বজরা হাসপাতাল–কাশিপুর সড়কের অদের মাথা নামক স্থানে রেললাইনের পূর্ব পাশে তালাবদ্ধ একটি কক্ষের ভেতর থেকে কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকালে উক্ত চক্রের প্রধান হোতা পালিয়ে যায়।
জেলা বন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, কনক দাস নামের ব্যক্তি উক্ত এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন, এবং তাঁর জন্মস্থান বরিশাল।
এই কচ্ছপগুলো সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত রয়েছে তার নিজস্ব কর্মী বাহিনী। এর আগে আরও দুইবার অভিযান পরিচালনা করেও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি বলে জানান উক্ত কর্মকর্তা। তার রয়েছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল, রেঞ্জ কর্মকর্তা কারার মাহবুব, সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে জনাব মোঃ রাইমুন চৌধুরী রনিম।
উক্ত অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে সরেজমিন বার্তা প্রতিনিধিকে জেলা বন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, “কচ্ছপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করা, মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি করা এবং সামুদ্রিক পরিবেশের উন্নতি সাধন করা এদের কাজ। কচ্ছপ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য খাদ্য হিসেবে কাজ করে, আবর্জনা পরিষ্কার রাখে এবং বীজ ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, যা পরিবেশের জন্য অপরিহার্য। এদের ধরা, মারা বা শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। উক্ত চক্রের মূল হোতা কনক দাসকে আটক করার বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।”