স্বাধীন স্পোর্টস ডেস্ক:
মার্কিন হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়েছিল জাঁকজমকপূর্ণ নৈশভোজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব যেমন অ্যাপল সিইও টিম কুক এবং টেসলা প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। ক্রীড়া বিষয়ক মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও অতিথিদের সারিতে ছিলেন।
ইএসপিএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমের সামনের দিকে বিশেষভাবে রোনালদোকে বসানো হয়। কাছাকাছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ বক্তব্য রাখেন। ট্রাম্প রোনালদোর প্রতি বিশেষ সম্মান দেখান এবং বলেন, তার কনিষ্ঠ ছেলে ব্যারন ‘রোনালদোর বড় ভক্ত’। ট্রাম্প হাস্যরস মিশিয়ে বলেন, ‘রোনালদোর সঙ্গে ব্যারনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। এখন মনে হচ্ছে, সে আমাকে একটু বেশি সম্মান করছে।’
রোনালদো ২০২২ সালের শেষ দিকে দুইশ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক চুক্তিতে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন। চলতি বছরের জুনে তিনি আরও দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন। ক্লাবটির মালিকানা সৌদি সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের, যার চেয়ারম্যান ক্রাউন প্রিন্স নিজেই।
হোয়াইট হাউস সফরটি যুবরাজ সালমানের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দারা যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করলেও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রোনালদোর জন্য এটি বিরল যুক্তরাষ্ট্র সফর, ২০১৪ সালের পর তিনি দেশটিতে আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। ২০১৭ সালে জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেল একটি প্রতিবেদনে অভিযোগ এনেছিল, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে একজন নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় রোনালদো গোপনে অর্থ প্রদান করেছিলেন। রোনালদোর আইনজীবীরা অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে পরস্পর সম্মত সম্পর্ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন, এবং কোনো ফৌজদারি মামলা হয়নি।
এদিকে সৌদি আরব ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ফিফার দ্রুতগতির বিডিং প্রক্রিয়ায় কোনো প্রতিযোগী না থাকায় সৌদি আরবের পথ সুগম হয়। রোনালদো সৌদি বিডের প্রচারে সক্রিয় ছিলেন এবং নির্বাচনের পর বলেন, ‘যা দেখছি, তা দেখে মনে হচ্ছে ২০৩৪ বিশ্বকাপ হবে সর্বকালের সেরা।’
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা–মেক্সিকোয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে ষষ্ঠবারের মতো খেলবেন রোনালদো। এটি বিশ্বকাপ ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। তবে জাতীয় দলের ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম লাল কার্ড পাওয়ায় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তাকে নাও পাওয়া যেতে পারে পর্তুগাল দলের হয়ে।