১৭ই সেপ্টেম্বর সকাল ১১ঘটিকায় অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, আইন প্রশাসন নীরব,

তথ্য ও প্রতিবেদক- মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী। ছবি- স্বাধীন সংবাদ।

১৭ই সেপ্টেম্বর সকাল ১১ঘটিকায় অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, আইন প্রশাসন নীরব, অথচ রাজপথে একক নেতৃত্বে সমঝোতার বার্তা দিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল- ইউসুফ খান টিপু। নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম লিংক রোড, জেলা পরিষদ সামনের সড়ক এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেল নগরবাসী। অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক এবং ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অটোরিক্সার চাকার ফোটা করা কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন সংঘর্ষে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে সাহসী ৭১ যুদ্ধের বীরের মতো সাহসী ভূমিকা রাখলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

 

শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে লিংক রোডে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। তারা নিয়মিতভাবে অবৈধ যানবাহন বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই কিছু অসাধু ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক চালক অটো রিক্সার চাকার টিউব ফোটা করা কে কেন্দ্র করে হামলা চালায় মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রূপ নেয়।দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, এবং ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সহ বিভিন্ন সড়কে আনুমানিক ৩ ঘন্টা জ্যামের সৃষ্টি হয়।

 

ঠিক এই সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো দৃশ্যমান উপস্থিতি ছিল না, অথচ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দীন সাহবের অফিস ঘটনার স্হানের পাশেই অবস্থিত। সেই সময় এসপি, ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা দের পাওয়া যায়নি। অথচ এমন এক সংকটময় মুহূর্তে অপ্রত্যাশিত ভাবে রাজপথে এগিয়ে আসেন এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

 

তিনি বার বার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষাথীদের ও অবৈধ ব্যাটারি ইজি বাইক চালকদের শান্ত থাকতে উভয়কেই আহ্বান জানান, এবং অপরদিকে তিনি উভয়কেই বলেন রক্তপাত কোন সমাধান নয়। যদিও শুরুতে উভয় পক্ষই টিপুর অনুরোধ শোনার পরিবর্তে রাজপথেই ফয়সালার দাবী জানায় দুই পক্ষই, তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। একাধিকবার শিক্ষার্থীদের ও ইজি বাইক চালকদের মাঝে গিয়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেন বীর সৈনিক টিপু। অবশেষে সকলকে মানবতার ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিয়ার প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান তিনি। সেখানে তার প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতা কে সাধুবাদ স্বাগত জানায় ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিয়া। তার পর ডিসি,ও এসপি উভয় পক্ষ কে আলোচনায় বসার উদ্বেগ গ্রহণ করেন। সকলের প্রচেষ্টায় একটি গ্রহণ যোগ্য সমঝোতায় পৌঁছায়। এই সমাঝোতা সভায় এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ মহানগর বি এনপির আহ্বায়ক এড.মোঃ সাখাওয়াত হোসেন খান। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ সেখানে যোগ দেন।

 

আলোচনার শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উভয়ের উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থী ও চালকদের মধ্যে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়। এ সময় এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন মানুষ শান্তি চায়, রাজপথে রক্তপাত বা সংঘর্ষে সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়। আজকের এই পরিস্থিতি প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তবুও আমরা চাইনি কোনো মায়ের সন্তান রক্তাক্ত না হোক। এজন্যই নিজের জীবনকে বাজি রেখে আমি দুই পক্ষের মাঝখানে দাড়িয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ… , আল্লহ্ রহমতে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো গেছে।আমি একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আমার দায়িত্ব হলো নারায়নগঞ্জের মানুষদের নিরাপথ রাখা, তাদের যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা। নারায়ণগঞ্জে এই ঘটনার পররাজনীতিক অঙ্গসংগঠন সহ সাধারণ মানুষ ও টিপু ভাইয়ের দুঃসাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকাকে প্রশংসা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *