১৮ ঐ জানুয়ারী চকরিয়ায় খামার বাড়িতে ডাকাতের তান্ডব

কামরুল ইসলাম:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় খামার বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬টি মহিষ (স্থানীয় ভাষায় ভুষ) সশস্ত্র ডাকাত-সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় খামার মালিক সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামের পারভেজের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহারে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে ৮ জনকে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়- চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কদ্দা ছড়াস্থ গবাদি পশুর খামার বাড়িতে শুক্রবার বিকেলে এই তাণ্ডব ও ৬টি বড় সাইজের মহিষ লুটের ঘটনাটি ঘটে।

এই ঘটনায় থানায় দেওয়া লিখিত এজাহারে নামোল্লেখ করা আসামিরা হলেন- সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালী গ্রামের বেলাল, কামাল, আবদু মালেক বাবু, নুরুচ্ছফা, রিয়াজ, সিফাত, হেলাল, কাইছার, নুরুল হক, আব্দু জলিল, পূর্ব বড় ভেওলার কদ্দা ছড়াস্থ নয়াপাড়ার ফরিদ, সাকিব, পইল্লা পাড়ার মারুফুল ও বাপ্পি।

লিখিত এজাহারে দাবি করা হয়েছে- তার স্বামী পারভেজ পার্শ্ববর্তী পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কদ্দা ছড়ায় মহিষসহ গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে এজাহারনামীয় আসামি তথা ডাকাত-সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলের কাছে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে এবং ব্যাপক গুলি ছুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় তার (বাদী) স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে সশস্ত্র ডাকাত-সন্ত্রাসীরা খামারে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় এবং খামারের পরিচালক আবদু রহিমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যের বড় সাইজের ৬টি মহিষ লুট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়ার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এ এম রকীব উর রাজা বলেন, খামার মালিক পক্ষের করা লিখিত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা নিশ্চিত হলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *