১৯৯৬ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বরের খান মামুন!

আনোয়ারুল হকঃ

 

পুঠিয়ার ইতিহাসের নতুন এক নাম খান মামুন। যে খান মামুন এখন বিএনপির বাপ বলে দাবি করেন, তার বিগত দিনের ইতিহাসের কথা তুলে ধরা হলো।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ১৬ই সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ এবং রোডমার্চে যোগদান করেছিলেন। সেই দিনটা ছিল ইতিহাসের বড়ই এক মর্মান্তিক দিন। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী, যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা পুঠিয়া উপজেলার শীলমাড়িয়া ইউনিয়ন এবং ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের যানবাহন আটকে দিয়েছিলো। পুঠিয়া ত্রীমোহনী বাজারে অনেক গাড়ি ভাঙচুর করেছিলো। এবং অনেক গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এ ছাত্রলীগের দোসররা সমাবেশের দিন সাধারণ জনগণের উপর অতর্কিত ভয়াবহ হামলা করেছিলো।

লাঠি রড ও রামদয়ের আঘাত অনেক সাধারণ জনগণের শরীরে রয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষ এখনও সেই দিনটাকে ভুলতে পারেনা। সেই সময়য়ে পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এই খান মামুন। এবং এই খান মামুনের বাবার স’মিল থেকে কাঠের চলা, লাঠির ডাল-পালা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিলো সাধারণ গণতান্ত্রকামী মানুষদেরকে। তারা সেই দিনটা এখনো ভুলতে পারেনি। তাই পুঠিয়া উপজেলার ঐসকল নির্যাতিত গণতন্ত্রকামী বিএনপি’র কর্মীরা আজও খান মামুনকে মেনে নিতে পারেন নাই। পরবর্তীতে অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করলেন। যোগদান করার পিছনে অনেক গোপন রহস্য রয়েছে। সেইগুলো প্রকাশিত করা হচ্ছে।

সে সময় খান মামুনের বোন-জামায় থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এবং খান মামুনের বোন-জামায় মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েছিলেন। খান মামুন অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাদিম মোস্তফার ওই সময়ের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে নিয়োজিত হয়েছিলেন। সে সময় নাদিম মোস্তফা কিছু আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে দলে ভেড়ানোয় পুঠিয়া উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলো।

এবং খান মামুন, নাদিম মোস্তফার লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করতো। শুরু হলো খান মামুনের রাজনীতির লেবাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সেই থেকেই এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে পুঠিয়া উপজেলার নির্যাতিত প্রকৃত বিএনপি’র কর্মীরা জিম্মি হয়ে গেলো।

সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রকৃত, নির্যাতিত-নিপীড়িত ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোন মূল্যায়ন হয়না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। তাদের ভাগ্যে জোটে নির্যাতন, মামলা ও হামলা। পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী কবে কখন কিভাবে এই ভয়ংকর দানব সদৃশ্য জিম্মিকারীর হাত থেকে রক্ষা পাবে সেটাও কেউ জানে না। প্রকৃত নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঢাকা পড়েছে এক অনিশ্চয়তার চাদরে।

এসব তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে বিএনপির নির্যাতিত-নিপীড়িত নেতা-কর্মীদের নিকট হতে। নাম প্রকাশ করতে অনইচ্ছুক নেতা-কর্মীরা বুকভরা আক্ষেপ নিয়ে এসব তথ্য প্রদান করেন। এবং উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নিকট তাদের মুক্তির আকুতি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *