মোঃ সাঈদ:
ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামিলীগ পরিচয়কে ম্লান করে শাক্তা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাস চালায় আমান ও তার ছেলে সাজিদ। পরবর্তীতে জানা যায় সে আওয়ামিলীগের সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নয় ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২ টায় খোলামোড়া সংগ্লন বঙ্গবন্ধু সরক নামে পরিচিত এলাকায় কথিত ভুয়া সহ-সভাপতি আমানের প্ররোচনায় তার ছেলে সাজিদ(১৭)
ও কিশোরগ্যাং কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে প্রকাশ্যে,ভাড়ালিয়া গ্রামের মোহন বাবুর্চির ছেলে অনিক হাসান রাব্বীকে দাড়ালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্হানীয়দের সাহায্যে কেরানীগঞ্জে স্বাথ্যকমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে আইসিওতে ভর্তি করা হয়। বতর্মানে তার অবস্হা খুব আশংকাজনক ।
এলাকাবাসী জানায় আমান বেশ কয়েক বছর ধরে মুন্সিগজ্ঞ সিরাজদিখান হতে এসে খোলামোড়া বঙ্গবন্ধু রোডে নতুন বাড়ী করে । মুন্সিগজ্ঞ সিরাজদিখান এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে একাদিক মামলা রয়েছে ।এখানে এসেও আমান ও তার ছেলে বেশ কয়েক মাস ধরে এলাকায় নিজেকে স্হানীয় আওয়ামিলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । কেও কিছু বললে মামলা হামলার ভয় দেখায়, এমন কি মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায়।
এবিষয়ে শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ৫নং ওয়ার্ডের আওয়ামিলীগের সভাপতি মুজিবর রহমান সাংবাদিকদের জানান
আমার ৫নং ওয়ার্ডে কোন পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি কেন্দ্রীয় ভাবে শুধু সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করা হয়।
আর ওর তো (আমানের)সহ-সভাপতি পদ প্রশ্নই আসেনা । ও যদি দলের কোন পদপদবির পরিচয় দিয়ে থাকে তা অবৈধ এবং ভুয়া এর শাস্তি হওয়া দরকার ।
পরে এলাকাবাসী একজোট হয়ে আমান ও তার ছেলের বিচারের দাবিতে রাস্তায় বিভোব মিছিল করে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করিলে ১ ঘন্টা খোলামোড়া রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে ।পরবর্তীতে
কেরানীগঞ্জে মডেল থানার পুলিশ এসে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা কোন মামলা হয়নি।