জাহাঙ্গীর আলম শাহীন:
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায়
অবৈধভাবে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে ইট। গত ২১ মার্চ কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং এসিল্যান্ড মনোহরগঞ্জ অভিযান চালিয়ে হাসনাবাদের মনিপুর গ্রামে মিজি ব্রিক্স নামে অবৈধ এই ইটভাটার কাগজপত্র না থাকায় চিমনি গুড়িয়ে দেয়া হয়। গুড়িয়ে দেয়ার দুদিন পর আবারো ভাটাটি চালু করে ইট পোড়ানো শুরু করে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এনিয়ে সচেতন মহলে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে ২০১০ সালে কমলপুর গ্রামের আবদুর রহমান নামে এক প্রবাসী পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে ইটভাটাটি চালু করে। এরপর ২০১২ সালে ব্যবসায়িক পার্টনারদের সাথে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে আবদুর রহমানকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। এরপর থেকে জিয়াউর রহমান, সাহাব উদ্দিন মিলে ভাটাটি পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু আবদুর রহমানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও গত ১২ বছরেও আর নবায়ন করেনি তারা। গত একযুগ ধরে অবৈধভাবেই চলছিলো ইটভাটাটি। এনিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাননা। এ বিষয়ে কুমিল্লার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জোবায়ের হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন মিজি ব্রিক্সকে বারবার নোটিশ দেয়া হলেও তারা আমলে নেয়নি তাই গত ২১ মার্চ অভিযান চালিয়ে ভাটা ভেঙে দেয়া হয়েছে। একটি ইটভাটা পরিচালনা করতে যে সমস্ত কাগজের প্রয়োজন সেগুলো মিজি ব্রিক্স এর আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মনোহরগঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ‘দৈনিক স্বাধীন সংবাদ’কে জানায় মিজি ব্রিক্স এর প্রোপাইটর জিয়াউর রহমান আমাদের কোন কাগজ দেখাতে পারে নাই। পুনরায় চালুর ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানায়,ব্রিক্স ফিল্ডটি পুনরায় চালু করেছে কি না খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজালা রানী চাকমাকে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে নারাজি প্রকাশ করেন এবং সরাসরি কথা বলার আহবান জানান।