৫০০০ টাকার বাতি কিনলো ২৭ হাজার৭০০ টাকায় বাংলাদেশ রেল

শহিদুল ইসলাম চট্রগ্রাম ব্যুরো:
দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে এভাবেই রেলকে ধ্বংসের মুখে নিচ্ছে।

এবার রেলেওয়ের যন্ত্রাংশ ক্রয়ে বড় রকমের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাজারে যেসব এলইডি বাতির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, রেলওয়ে সেসব বাতি ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এমন প্রমাণ পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, রেলওয়েতে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন ও কাটিং জ্যাক ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি ও পিপিআরের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ ছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এনামুল হক বলেন, রেলওয়ের বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট ও এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেগুলোর ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে, যেগুলোর দাম বাজারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা।

দুদকের সহকারী পরিচালক আরও বলেন, পাহাড়তলীতে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযোগসংশ্লিষ্ট আরঅ্যান্ডআইয়ের মেরামত করা কক্ষ পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ওয়াকিটকি ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

এই অনিয়ম প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের ওপর ভিত্তি করে ওইসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো তথ্যউপাত্ত পায়নি দুদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *