স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালী জেলার মাইজদীতে সামান্য বেকারি দোকানদার সুমন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। টাকার অহংকারে এলাকার মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করছেন না এই সুমন। সূত্র আরো জানা গেছে , সুমনের রয়েছে একটি সিন্ডিকেট যে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন হুন্ডি বাণিজ্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান এই সুমন বাংলাদেশ সরকারকে ফাঁকি দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করছে দেশের সম্পদ।
তিনি দুবাই, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেন। সুমনের ছোট্ট একটি কনফেকশনারি দোকান কিন্তু ভিতরে ৫/৬ জন কর্মচারী,, মূলতঃ তারাই এই অবৈধ হুন্ডি ব্যাবসার সহযোগী। সরকারি রেমিটেন্স ফাঁকি দিয়ে তিনি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
সম্পদের জোরে তিনি বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সুমন স্হানীয় বাসিন্দা না। সুমন দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। সুমনকে আইনের আওতায় এনে এখনই থামানো দরকার তা না হলে রেমিটেন্স ফাঁকি দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ এর মাত্রা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকায় সুমনের অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সুমন বলেন আমি বৈধ অবৈধ বুঝিনা টাকা ইনকাম করছি দেশের সেবা করছি। আমার মনে হয় আমি কোন অন্যায় করছি না ,এই সুমনের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার এবং নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের প্রতি।
দ্রুত তদন্ত করে সুমনকে আইনের আওতায় না না হলে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।