আবাসিক হোটেলের নাম দিয়ে বাকুলীয়া থানা এলাকায় জিএম প্যালেসে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

মোঃ কাওসার :

দেশের মানুষ বিভিন্ন জায়গায় কাজে যায় অথবা বেড়াতে যায় এজন্য প্রয়োজন আবাসিক হোটেল। শহরের আনাচে—কানাচে নামে বেনামে রয়েছে একাধিক আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ড দেখে রাত্রিযাপনের জন্য মানুষ যায় ওইসব আবাসিক হোটেলে । কিন্তু সব আবাসিক হোটেলে মানুষ থাকার জন্য নয়। বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে যেগুলো শুধু পতিতাবৃত্তি, অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক সেবনের আড্ডাখানা। যেসব হোটেলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই হারিয়েছেন মান ইজ্জত। মান ইজ্জতের ,ভয়ে মানুষ আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না। এমনই একটি আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ড  জিএম প্যালেস  নোমান কলেজ রোড শাহা আমানত সেতু নতুন ব্রীজ বাকলীয়া আহমেদ টাওয়ার তৃতীয় তলা , চট্রগ্রাম। জি এম প্যালেস  আবাসিক হোটেলের রয়েছে একাধিক মালিক যারা অসামাজিক বাণিজ্য করে কামিয়েছেন কোটি টাকা। এই জি এম প্যালেস আবাসিক হোটেলের মালিক ম্যানেজার জিয়াউল হকের রয়েছে প্রচন্ড ক্ষমতা। আমাদের প্রতিনিধির কাছে জিয়াউল হক অহংকার করে বলেন আমি দিনে দুপুরে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছি কই আমার তো কোন ক্ষতি হচ্ছে না। প্রশাসন আমাকে সহযোগিতা করে অথচ আপনারা সাংবাদিকরা আমাকে সহায়তা করেন না। জিয়াউল হক  আরো বলেন, আমার দয়ায় প্রশাসন ও কিছু কিছু সাংবাদিক চলে যাদেরকে আমি প্রতিমাসে টাকা দেই । এ বিষয়ে বাকলীয়  থানার ওসি আফতাবের কাছে গতকাল  অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থ্যা নেয়নি।  স্থানীয় একধিক ব্যবসায়ী বলেন আমরা লজ্জায় এখানে ব্যবসা করতে পারছি না। ভালো মানুষ এখানে আসতে চায় না, মান ইজ্জতের ভয় হোটেল জি এম প্যালেসের অসামাজিক ব্যবসার কারণে। এই আবাসিক হোটেলে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর পতিতা যাদের রেট কারো ২০০০ কারো ১৫০০ আবার কারো ১০০০ টাকা পর্যন্ত। বিষয়টি চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রাম মহানগরেআহমেদ টাওয়ার তৃত্বীয় তলা শাহ মানত পূর্ব পাশে নতুন ব্রীজ মোড় বাকুলীয়া  থানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত আবাসিক হোটেলের নাম দিয়ে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। আবাসিক হোটেল জি এম প্যালেস মূলত একটি মিনি পতিতালয়। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে প্রশাষন মাঝে মাঝে রেট দিয়ে কিছু পতিতাকে নিয়ে যায়। একদিকে নিয়ে যায় অপরদিকে আবার চালু হয়। এ বিষয়ে বিপ্লব হোটেলের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদেরকে জানায় যে, পুলিশের কাজ পুলিশে করে আমাদের কাজ আমরা করি। ম্যানেজার বিপ্লব আরো বলেন আসলে পুলিশ আমাদের বিষয়টা জানে , পুলিশের নজরের বাইরে কেউ না। এ বিষয়ে  এলাকায় ব্যবসা করেন এমন অনেকেই অভিযোগ করে বলেন এসব অপকর্মের কারণে এই এলাকায় ব্যবসা করা দুরহ। এ বিষয়ে প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ প্রশাসনের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *