রেমালের তাণ্ডবে শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ

মোঃ শামীম হোসেন:

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তারের ওপর ভেঙে পড়েছে গাছপালা। এতে জেলার সাড়ে ৩ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গাছপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও কিছু কাঁচা ঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে ফসলিজমিও।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে রোববার দিবাগত রাত থেকে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস শুরু হয়। বৃষ্টি কমলেও আজ মঙ্গলবারও নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় বাতাস অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রেমালের তাণ্ডবে শরীয়তপুরের সখিপুর, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট, ডামুড্যা, জাজিরাসহ প্রায় সকল অঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্কে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে জেলার সাড়ে ৩ লাখের বেশি পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। লোকবল সংকট থাকায় এত গাছ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সদর উপজেলা ও জাজিরার কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

সখিপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন  বলেন, রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সখিপুরের হাজী শরীয়তুল্লাহ কলেজ এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে রয়েছে। এখনো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনো লোক এসে গাছগুলো সরিয়ে দেয়নি।

গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মাইজারি গ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমেদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে আছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমাদের কারও মোবাইলে চার্জ নেই। যার কারণে দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নিতে পারছি না।

শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (তথ্য ও প্রযুক্তি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, সকাল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ত্রুটিপূর্ণ। যার কারণে এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমরা হাতে পাইনি। যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সাড়ে ৩ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। ৫০০ থেকে ৬০০ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির ওপরে গাছ পড়ে রয়েছে। লোকবল সংকট হওয়ার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব গাছ সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি দ্রুত লাইন ঠিক করে সংযোগ দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *