মোঃ হাবিবুল্লাহ:
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর শনিরআখড়া (দনিয়া কলেজ মাঠ) ও শ্যামপুর বালুর মাঠ কোরবানির পশু হাটে জমে উঠেছে পশু বেঁচা-কেনা। ক্রেতারা হাটে ঘুরে গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন কোরবানির পশু দেখছেন এবং দাম যাচাই করে কিনছেন।
শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে পশু বেচাকেনা জমে ওঠেছে। শনিবার পর্যাপ্ত পরিমানে পশু বেঁচা-কেনা হয়েছে। ক্রেতারা যেমনি হাটে পশু কিনতে যেয়ে ফেরত আসেননি। তেমনি বিক্রেতা বেপারীরাও তাদের ক্রেতাদের যেতে দেয়নি। পশুর দাম ছিল সহনীয় পর্যায়ে। শনিবার হাট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর দাম ছিল উর্ধ্বগতি। কারণ এই দুই সাইজের গরুর চাহিদা বেশী।
শনিরআখড়া দক্ষিণ পলাশপুর বাইতুর রিয়াজ জামে মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নিজাম উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, আমি শুক্রবার রাতে শনিরআখড়া হাটে পশু কিনতে যাই। সেখানে আলাদা তিনটি বেপারীর গরু দেখি। তারা একটি গরুর মুল্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাম চেয়েছে। আমি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করেছি। পরে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। গরুর হাসিলের টাকা দিয়েছি হাজারে ৫০টাকা।
একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ নুরুজ্জামান, মোতালেব,জুয়েল, সেমি ও সানি শনিবার পশু কিনতে যান শনিরআখড়া হাটে। পশুর মালিক তাদের কাছে একটি গরুর মুল্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা চেয়েছেন। তারা পশুটির মুল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বশেষ ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বলে চলে গেছেন অন্য বেপারীর গরু দেখতে। এরই মধ্যে ওই বেপারী তাদেরকে ডাকাডাকি করে আরও ৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। নাসারবান্ধা জুয়েল আরও ২ হাজার টাকা দিতে বলেন। সর্বশেষ বেপারী আরও ৫ শত টাকা আবদার করে গরুটি ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫ শত টাকা মুল্য দিয়েছেন।
শনিরআখড়া হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাজী মোস্তাক আহমেদ। তিনি স্বাধীন সংবাদকে বলেন, শুক্রবার রাত থেকে হাটে বেঁচা-কেনা বেড়েছে। শনিবার সকাল থেকে পুরোদমে বেঁচা-কেনা হচ্ছে। পশুরমুল্য সহনীয় অবস্থায় রয়েছে।