
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়া ও তার মিত্র দেশ বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোটভুক্ত দেশ পোলান্ড এবং বাল্টিক দেশ পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া। বুধবার (২৬ জুন) জোটের এই সীমান্তে একটি প্রতিরক্ষা লাইন তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো। মস্কোর সামরিক হুমকি ও অন্যান্য ক্ষতিকারক কার্যকলাপ থেকে ইইউকে রক্ষার জন্য এই লাইন তৈরি করতে চায় তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে ব্রাসেলসে শুরু হওয়া একটি শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার জন্য ইইউ’র চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠায় এই চার দেশের নেতারা। চিঠিতে তারা বলেছেন, এই প্রকল্পটি জোটের ২৭টি দেশের ৪৫ কোটি মানুষকে সুরক্ষা দেবে। এছাড়া, এটি বাস্তবায়নে জোটটির সব সদস্যদের আর্থিক সহায়তাও প্রয়োজন হবে।
রয়টার্সের দেখা চার নেতার ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সামরিক এবং হাইব্রিড হুমকি থেকে ইইউকে রক্ষার জন্য রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত বরাবর একটি প্রতিরক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ করা জরুরী।’
হাইব্রিড হুমকিগুলো সামরিক ও বেসামরিক হয়ে থাকে। পাশাপাশি এটি আক্রমণের গোপন ও প্রকাশ্য উপায়গুলোর সংমিশ্রণকেও বোঝায়, যার মধ্যে বিভ্রান্তি, সাইবার আক্রমণ, অর্থনৈতিক চাপ এবং সীমান্ত পেরিয়ে অভিবাসীদের ঠেলে দেওয়ার মতো ঘটনাগুলো রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যৌথ এই প্রচেষ্টার পরিসর এবং এর খরচের জন্য ইইউকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমর্থন যোগাতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
কিছু ইইউ কূটনীতিক অনুমান করেছেন, রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে ৭০০ কিলোমিটার ইইউ সীমান্ত বরাবর মাটিতে এমন একটি প্রতিরক্ষামূলক লাইন নির্মাণের প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ইউরো (২.৬৭ বিলিয়ন ডলার)ব্যয় হতে পারে।
ব্রাসেলসের শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতাদের মধ্যে আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হবে প্রতিরক্ষায় ইউরোপীয় বিনিয়োগ এবং এর অর্থায়ন। কেননা, ইউক্রেনে রাশিয়ার শুরু করা যুদ্ধ তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে হাইব্রিড অভিযান বাড়াচ্ছে মস্কো।