মোঃ ওয়াহিদ হোসেন:
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ১১৩৭ স্মারকের নির্দেশনার অলোকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক সেলের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। যাতে গরীব ও অসহায় মানুষ কম মূল্যে চাল ও আটা কিনতে পারে। কিন্তুু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে এ সেবা থেকে বঞ্চিত গরীব মানুষগুলো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঢাকা রেশনিং ২৯৯ জুরাইন ঢাকা—১২০৪ এর অফিসে পদে পদে টেবিলে টেবিলে চলে দুর্নীতি। ডি ২ এর আরও নাইয়া রানুর অবহেলার কারণে ডিলারগণ ভোক্তাদের ঠকিয়ে নিজেরা হয়েছেন লাখপতি। অনান্য এ আরও গণকে অবিযোগ কিংবা সংবাদ প্রকাশ করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিন্তু নাইয়া রানুর এবং তার ভাই তদারককারী এস এম হামিদ, দুজনের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নিতির অবিযোগ । অবিযোগ রয়েছে প্রতি সেলে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং সেলের সামনে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। গতকাল শেখ এসআহাক রহমান এর ট্রাক সেল ছিল নাড়িন্দা শাহ সাহেব বাড়ির গেট, স্বামীবাগ। বিক্রির স্থলে আসার কথা সকাল ৯টায় অথচ ১০:৩০ মিনিট পর্যন্ত বিক্রয় স্থলে আসে নাই। ১০;৪১ মিনিটে দেখা যায় তার গাড়িটি অনেক দুরে মেইন রোডে পার্কিং করা আছে। এ বিষয় তদারককারী বিবেক কিত্তের্নিয়াকে ফোনে কখন সেল ওপেন করেছেন তখন তিনি বলেন ৯:৩০ থেকে শুরু করেছি এবং ৫ টায় শেষ করেছি। যখন তাকে বলা হয় ১০:৪১ পর্যন্ত সেল ওপেন হয়নি এবং আপনি সেখানে ছিলেন না এবং প্রমাণ হিসেবে আমাদের কাছে লাইভ ভিডিও আছে। এবং আপনার কথা প্রমানের রেকোর্ড করা হচ্ছে। তখন তিনি বলেন ভাই আমার তো আরও তিন থেকে চার টা সেল আছে যার কারণে সময় মতো থাকতে পারি নাই। ডিলার এসআহাকের সম্পূর্ণ মাল বিক্রি না করে ৫ টার আগেই বিক্রয় স্থান ত্যাগ করেন। তখনও তার গাড়িতে প্রায় ১ টনের মতো মাল ছিল। অথচ তদারককারী কর্মকর্তা বিবেক কিত্তের্নিয়া বলেন সব মাল বিক্রি হয়েছে, কোনো স্টোক নেই। যখন বলা হলো মাল ছিল এবং ভিডিও আছে ট্রাক সেল যখন স্থান ত্যাগ করে তখন আপনি বিক্রয় স্থলে ছিলেন না, উওরে তদারককারী কর্মকর্তা বিবেক কিত্তের্নিয়া বলেন সময়ের কারণে যেতে পারিনি । বাধ্য হয়েই ডিলারদের কথা বিশ্বাস করতে হয়। এটি শুধুমাত্র দায়িত্ব অবহেলাই নয় অপরাধ। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ডিলার বলেন তদারককারী বলেন ২ হাজার টাকা দিলেই সে চলে যান। তাহলে দেখা যায় তদারককারী কর্মকর্তা বিবেক কিত্তের্নিয়া মোট ৩ টি বিক্রয় সেলে দায়িত্ব পালন করছেন। তাহলে দেখা যায় গতকাল তার ঘুষ বানিজ্য হয়েছে ২০০০গুন ৩ = ৬০০০ টাকা। অপরদিকে গত মঙ্ঘলবার ডি ২ এর ডিলার আসির উদ্দিন ওই একইস্থানে ট্রাক সেল ছিল সেখানেও তদারককারী কর্মকর্তা ছিল বিবেক কিত্তের্নিয়। সেখানেও দুর্নিতি হয়েছিল। ডিলার আসির উদ্দিন সঠিক সময় বিক্রয় স্থানে আসেনি এবং ৫ টার আগেই মাল নিয়ে চলে গেছেন। এ বিষয় ডিলার আসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ব্যবসা করে খাই। আমাদের ক্ষতি করে আপনাদের কি লাভ। তাছারা আমরা সাংবাদিকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখি আপনাদের সাথেও রাখবো।
এ বিষয় জানার জন্য ডি ২ এ আরও এর নাইয়ার রানুকে বার বার ফোন করলেও দরেনি। অথচ ডি ১ এর এ আরও শহিদুল ইসলামকে যে কোনো সময় ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন অথবা ফোন ব্যাক করেন। কিন্তু এ আরও নাইয়া রানু তার উল্টো। একাধিক পত্রিকায় এ আরও নাইয়া রানুর ভাই তদারককারী এস এম হামিদকে নিয়ে অবিযোগ ও সংবাদ প্রকাশ্যের পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তিনি । ঢাকা রেশনিং অনেক যোগ্য এ আরও আছে তাদেরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলে দুুুর্নিতি মুক্ত হবে।