জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্ট ‘শিবির সেন্টারে ভর্তি’ নিয়ে

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:

 

সম্প্রতি এক স্কুল শিক্ষার্থীর ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থক হওয়া নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ফেসবুকে পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। কেউ কেউ আবার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এবার ছাত্রশিবির নিয়ে এক মায়ের দৃষ্টিভঙ্গি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ‌‘শিবির সেন্টারে ভর্তি’ শিরোনামে তিনি লেখেন, ‌‘গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অফিসে বসা ছিলাম। এক মা তার দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন শিবির সেন্টারে ভর্তি করতে চান। একজন ক্লাস নাইনে অন্যজন ক্লাস সিক্সে পড়ছেন।

আমি কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাস করলাম, “শিবির সেন্টারে ভর্তি” এই আইডিয়া আপনার মাথায় কীভাবে আসলো?

তিনি বললেন, আমি শিবির সম্পর্কে স্টাডি করেছি। বুঝার চেষ্টা করেছি। আমি আমার পজিশন থেকে এই উপলব্ধিতে পৌঁছতে পেরেছি যে, ছাত্রশিবির এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা আমার সন্তানের মেধা ও নৈতিকতা সমন্বয় সাধনে ভূমিকা রাখবে। জাহিলিয়াতময় এই পরিবেশে আমি সবসময় সন্তানদের পাহারা দিয়ে রাখতে পারি না। আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, শিবিরের সিলেবাস, কারিকুলাম, প্রোগ্রামসমূহ আমার সন্তানের জন্য নৈতিক ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

সে মায়ের কথা শুনে আমি কিছুটা আপ্লুত হলাম। পাশাপাশি স্বপ্ন দেখলাম, সাহস ও শক্তি পেলাম। আমার সাথে কেন্দ্রীয় প্রচার ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ভাইয়েরা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানালেন, এমন করে প্রায় সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে শিবির অফিসে আসেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তারচেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ শিবির সম্পর্কে জানা ও বুঝা। বাংলাদেশের শিক্ষার পরিবেশ, ক্যাম্পাস ও আর্থসামাজিক বাস্তবতায় এই কাফেলা শিশু, কিশোর ও যুবকদের জন্য এক নিয়ামক শক্তি। মহান রব এই জনপদের মানুষদের এই নেয়ামতকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *